Advertisement
E-Paper

লক্ষ্মীপুরে রুটমার্চ শুরু, কিছুটা স্বস্তি

সোমবারই লক্ষ্মীপুরে গুলিতে নিহত হন এক কংগ্রেস কর্মী। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই চোপড়ায় গুলি-বোমার লড়াই চলছে। এক বছরে রাজনৈতিক হানাহানিতে ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত শতাধিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০৭:৪০
নজরদারি: লক্ষ্মীপুরে চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। নিজস্ব চিত্র

নজরদারি: লক্ষ্মীপুরে চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। নিজস্ব চিত্র

শুক্রবার চোপড়ায় এসে পৌঁছল এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ দিনই দুপুরে লক্ষ্মীপুরে টহল দেয় কেন্দ্রীয়বাহিনী। একই সঙ্গে দাসপাড়া, ঘিরনিগাঁওয়ের মতো যে সব এলাকা পঞ্চায়েত ভোটের সময় উত্তপ্ত হয়েছিল, পুলিশের সঙ্গে বাহিনী সেখানেও গিয়েছে।

সোমবারই লক্ষ্মীপুরে গুলিতে নিহত হন এক কংগ্রেস কর্মী। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই চোপড়ায় গুলি-বোমার লড়াই চলছে। এক বছরে রাজনৈতিক হানাহানিতে ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত শতাধিক। বারবার গুলি-বোমার লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ ত্রস্ত। লোকসভা ভোটের আগে খুনের ঘটনায় পরিস্থিতি আরও শোচনীয় হয়ে পড়ে। ফলে এ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী নামতেই কিছুটা হলেও স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। আশাবাদী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। চোপড়ার ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অশোক রায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করাতে কিছুটা হলে শান্তি ফিরবে।’’ যদিও চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমান বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে সাধারণ মানুষের যাতে হয়রানি না হয়, সেই বিষয়টি খেয়াল রাখতে বলব জেলা পুলিশকে।’’

এদিকে, এ দিন বাহিনী দখল নিলেও লক্ষ্মীপুরের রাস্তাঘাট ছিল সুনসান, দোকানপাট ছিল বন্ধ। বিজেপি উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হয়েছে ঠিকই। তবে তাদের যাতে কাজে লাগানো হয় সেটা দেখতে হবে।’’ উত্তর দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘লক্ষ্মীপুর ও তার আশপাশে বাহিনী নামানো হয়। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।’’

Lok Sabha Election 2019 CRPF Route March
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy