একে অপরের বিরুদ্ধে দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তুলল বিজেপি ও তৃণমূল। আর তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তেজনা ছড়াল মাথাভাঙার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষও শুরু হয়। আহত হন বিজেপির তিন জন ও তৃণমূলের দু’জন কর্মী। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলায় পুলিশ। নামে র্যাফও। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে দু’দলের তরফে জানানো হয়েছে।
তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, মাথাভাঙায় তৃণমূলের সেন্ট্রাল পার্টি অফিসের সামনে তাঁরা দলীয় পতাকা লাগান। বিজেপির একদল দুষ্কৃতী তা ছিঁড়ে ফেলে দেয়। বাধা দিলে তাঁদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের। এ দিকে বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মীরা শহরের ২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পতাকা লাগাচ্ছিলেন। তখন তৃণমূল ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা বাধা দেয়। বিজেপির কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
ভারতীয় জনতা ট্রেড ইউনিয়ন এর জেলা সভাপতি রঞ্জিত বর্মণের অভিযোগ, এ দিন ৪ নম্বর ওয়ার্ড তাঁদের কর্মী রাজকুমার মন্ত্রি দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন। তখন তৃণমূলের লোকজন তাঁর উপরে আক্রমণ করে ও তাঁকে মারধর করে। খুলে ফেলে তাদের সমস্ত পতাকা। তিনি জানান, এই ঘটনায় তাঁদের তিন জন কর্মী আহত হন। তাঁর আরও অভিযোগ, এ নিয়ে পুলিশ কোনও ভুমিকা নিচ্ছে না। এর আগেও তাঁদের উপর আক্রমণে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এর পরে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন বলে জানান রঞ্জিতবাবু। বিজেপির জেলা সম্পাদক মনোজ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীরা দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন, তখন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁদের মারধর করে পতাকা ছিঁড়ে ফেলে।’’
এ দিকে, মাথাভাঙার পুরপ্রধান লক্ষ্মীপতি প্রামাণিক বলেন, ‘‘বিজেপির আমাদের পতাকা খুলে ফেলে নিজেদের পতাকা টাঙায়। আমাদের কর্মীরা গেলে ওরা আক্রমণ করে। আমাদের দু’জন কর্মী আহত হয়েছেন। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।’’
মাথাভাঙা থানার ওসি প্রদীপ সরকার বলেন, ‘‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ছুটে যায়। এলাকায় শান্তি রক্ষায় পুলিশি টহলদারি চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy