Advertisement
০৭ মে ২০২৪

গনির উত্তরসূরি তিনিই, চাঁচলে প্রচার ইশার

কুশিদা বাজারে দোকানে ঘুরে ঘুরে প্রচার চালানোর সময় সঞ্জয় দাস নামে এক দোকানিকে উদ্দেশ্য করে প্রার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি গনিখানের ভাইপো।’’

ভরসা: হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিঙ্গল পঞ্চায়েতে ইশা প্রচারে শুক্রবার আয়োজিত হয় গ্রামসভাও। নিজস্ব চিত্র।

ভরসা: হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিঙ্গল পঞ্চায়েতে ইশা প্রচারে শুক্রবার আয়োজিত হয় গ্রামসভাও। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ১২:১৩
Share: Save:

‘‘আপনাদের এলাকায় এ বারই প্রথম দাঁড়ালাম। তবে রাজনীতিতে নতুন নই। বিধায়কও ছিলাম। আমি গনিখানের ভাইপো। তাঁর একমাত্র উত্তরসূরি।’’ সাংসদ বাবা ডালুর ছেলে নন, মালদহের চাঁচল মহকুমায় প্রথম প্রচারে এসে নিজের পরিচয় দিতে গনিখানকেই হাতিয়ার করেছেন উত্তর মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী। নিজেকে গনি খানের ভাইপো পরিচয় দিয়ে কাউকে আদাব, কাউকে নমস্কার জানিয়ে তিনি অনুরোধ জানালেন একবার সুযোগ দেওয়ার। এ দিন সকাল থেকে সন্ধে, হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা বরুই, রশিদাবাদ, তুলসিহাটা, ভিঙ্গোল পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক গ্রামে, মেলায় ও বাজারে ঘুরে প্রচার চালান ইশা। কোথাও আবার খারাপ রাস্তা দেখে গাড়ি থেকে নেমে কর্মীদের অনুরোধে চড়ে বসেন গরুর গাড়িতেও। এ দিন তিনি করেন বেশ কয়েকটি কর্মিসভাও।

শুক্রবার সকাল থেকে এ ভাবেই চারটি পঞ্চায়েত এলাকায় দাপিয়ে বেড়ালেন ইশা। এ দিন কাকভোরেই কোতোয়ালির বাড়ি থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলমের বাড়িতে হাজির হন তিনি। সেখানে সামান্য প্রাতঃরাশ করেই বেরিয়ে পড়েন প্রচারে। কুশিদা এলাকা ঘুরে তিনি হাজির হন চণ্ডীপুরের উরস উৎসবে। সেখানে পিরবাবার মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফের বেরিয়ে পড়েন পথে।

গনিখানের ভাইপোকে দেখতে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাসিন্দাদের অনেকেই। ভিঙ্গোলে প্রচারে গিয়ে কর্মীদের অনুরোধে গরুর গাড়িতে চড়েন ইশা। সেখানে আদিবাসী অধ্যুষিত বৈরাট থেকে মালিবাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার মাটির রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরেই পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছেন বাসিন্দারা। কিন্তু ফল হয়নি। তাই ওই পথ গরুর গাড়িতে চেপেই প্রচার চালান ইশা। দুপুরে পঞ্চায়েতের স্থানীয় প্রধান বিমান বসাকের বাড়িতে দুপুরের খাবার খান। সূত্রের খবর, প্রচারে বেরিয়ে ইশা নিরামিষ খাবার পছন্দ করেন। সেই মতো এ দিনের মেনু ছিল ডাল, ভাত আর পনির।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কুশিদা বাজারে দোকানে ঘুরে ঘুরে প্রচার চালানোর সময় সঞ্জয় দাস নামে এক দোকানিকে উদ্দেশ্য করে প্রার্থীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি গনিখানের ভাইপো।’’ কানে আসে দোকানির সোজাসাপটা প্রশ্নও, ‘‘আপনিও ভোটে জিতে আমাদের ছেড়ে যাবেন না তো।’’ প্রার্থীর উত্তর, ‘‘আমি গনিখানের একমাত্র উত্তরসূরি। গনি খান আমার আদর্শ। তার দেখানো পথেই উন্নয়ন করতে চাই। কংগ্রেস ছাড়ার কথা স্বপ্নেও ভাবি না।’’

ইশা বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ অনেকেই বাবার নাম জানেন না। কিন্তু গনিখানকে চেনেন না, এমন কেউ নেই। তাই নিজেকে গনিখানের ভাইপো হিসেবেই পরিচয় দিচ্ছি। মানুষের কাছে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি। জয় নিয়ে আমি যথেষ্ট আশাবাদী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE