যত্ন: প্রচারের আগে মিছিলকে তৈরি করছেন দীপা। ছবি: সন্দীপ
এ বারই প্রথম ভোট দেবেন লন্ডনের কিংস কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র প্রিয়দীপ দাশমুন্সি। শুধু মায়ের জন্যই ভোট দেবেন। সামনে পরীক্ষা সত্ত্বেও তাই বিলেত থেকে উড়ে এসেছেন। এসেছেন মায়ের হয়ে ভোট চাইতেও।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ছেলে প্রিয়দীপ ওরফে মিছিল। প্রিয়-দীপার একমাত্র সন্তান। ২৪ এপ্রিল থেকে ফাইনাল পরীক্ষা শুরু। আর এখানে মায়ের ‘পরীক্ষা’ ১৮ এপ্রিল। সবকিছু ঠিক থাকলে ওইদিন ভোট দিয়েই ফিরে যাবেন লন্ডনে। পরীক্ষার সেই চাপের মধ্যেও এখন মিছিল ব্যস্ত মায়ের প্রচার কর্মসূচিতে।
রবিবার দেশে ফিরেই প্রচারে নেমে একাধিক জায়গায় ঘুরেছেন মায়ের সঙ্গে। সোমবারও সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কালিয়াগঞ্জের শ্রীকলোনির বাড়ি থেকে মায়ের সঙ্গে গাড়িতে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে তাঁকেও। তারপর দিনভর করণদিঘিতে মায়ের সঙ্গে প্রচারে। ভোটের আগে এই কয়েকটা দিন পড়াশোনার দিকেও তাকানোর যেন সময় নেই।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন ব্যস্ততার ফাঁকেই মিছিল বললেন, ‘‘বাবা চেয়েছিলেন রায়গঞ্জে এমসের ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি করতে। তারপর মা-ও চেষ্টা করছিল। আমরা সেটা করব। মানুষ চাইলে সেটা হবে।’’
রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং দর্শনের ছাত্র মিছিলের বক্তব্য, ওই হাসাতাল তৈরি ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় এলে তবেই সহজ হবে। ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসবেন কি না তা এখনই ভেবে ওঠেননি রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর ভক্ত মিছিল। বললেন, ‘‘পড়াশোনা করছি। সেটা আগে শেষ করি। এখন শুধু মায়ের পাশে দাঁড়াতে, তার হয়ে প্রচার করতে এসেছি।’’ রাজনীতি অবশ্যই ভাল লাগে। প্রিয় নেতা কে? প্রশ্ন শুনে চট জলদি জবাব, ‘‘কংগ্রেস করি। রাহুল-প্রিয়ঙ্কা আমার পছন্দের নেতানেত্রী।’’
নিজের প্রচারে ছেলেকে পেয়ে খুশি দীপা এবং দলের স্থানীয় নেতারাও। কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস নেতা সুজিত দত্ত জানান, এবারই প্রথম ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে মিছিলের। মহেন্দ্রগঞ্জ অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুল ২ নম্বরের বুথে ভোটার লাইনে দাঁড়াবেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy