Advertisement
E-Paper

এক হাজার কম কেন, ইস্তফা দাবি

বুধবার তৃণমূলেরই নাটাবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি নীলকমল দাসের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে তিনি জানান, রবীন্দ্রনাথবাবু তাঁর কাছে জানতে কত ভোটে লিড হবে। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪০
কমিশন শো-কজ করল তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। ফাইল চিত্র।

কমিশন শো-কজ করল তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। ফাইল চিত্র।

চেয়েছিলেন দু’হাজার। কিন্তু ‘লিড’ কত হতে পারে, এই প্রশ্নের জবাবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চল প্রধান বলেছেন, হাজারখানেক। অভিযোগ, তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হতে না পেরে তাঁকে ইস্তফাপত্র দিতে বলেন কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

বুধবার তৃণমূলেরই নাটাবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি নীলকমল দাসের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে তিনি জানান, রবীন্দ্রনাথবাবু তাঁর কাছে জানতে কত ভোটে লিড হবে। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট না হয়ে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, রবীন্দ্রনাথ ওই অঞ্চলে দুই হাজার ভোটে লিডের দাবি করেছিলেন। তিনি এক হাজার দেবেন বলে জানিয়েছিলেন।

শুধু নীলকমলই নন, দলের একটি সূত্রে দাবি, একই কারণে একাধিক অঞ্চল সভাপতিকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ বলেন, “বিষয়টি তেমন নয়। যারা একই সঙ্গে সভাপতি এবং প্রধান-উপপ্রধানের মতো দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের একটি পদে রাখা হবে। কে কোন পদে থাকতে চান, সেটা জেনে বাকিটায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের।’’

দলীয় সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, ‘অন্তর্ঘাতে’ যুক্ত ছিল কারা, তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে দল। ইতিমধ্যেই একাধিক নাম নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে অঞ্চল থেকে শুরু করে ব্লক পর্যায়ের নেতাও রয়েছেন। তাঁদেরও মাথায় কেউ ছিল কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে চুলচেরা আলোচনা। ভোটের ফল প্রকাশের পরেই ওই নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেদও করার ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে। দলের নেতাদের কেউই অবশ্য মুখে তা স্বীকার করতে চাইছেন না। রবীন্দ্রনাথ বলেন, “ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। এটুকু বলতে পারি, কোচবিহার তৃণমূল প্রার্থী কয়েক লক্ষ ভোটে জয়ী হবেন। মানুষ তাঁদের রায় দিয়েছেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।”

কোচবিহারে এ বারে লড়াই মূলত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে বামেরা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। ২০১৬ সালের লোকসভা উপনির্বাচনে বামেদেরে পিছনে ফেলে কোচবিহারে দ্বিতীয় হয় বিজেপি। এ বারে শাসক ও বিরোধী দু’পক্ষেই প্রার্থী নিয়ে দলীয় কর্মীদের একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। কোচবিহারে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন পরেশ অধিকারী। বিদায়ী সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে দল টিকিট দেয়নি। পরেশ ভোটের মাস তিনেক আগে বাম দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেয়। তার পরে তাঁর মেয়ের চাকরি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তাঁকে প্রার্থী করায় অনেক তৃণমূল নেতাই প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাতে ‘অন্তর্ঘাতের’ আশঙ্কা দৃঢ় হয়েছে।

বিজেপির মধ্যও ‘অন্তর্ঘাত’ নিয়ে খোঁজ শুরু হয়েছে। কোচবিহারে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নিশীথ। গত ৭ ডিসেম্বর দল নিশীথকে বহিষ্কার করে।

এর কিছু দিনের মধ্যেই নিশীথ বিজেপিতে যোগ দেন। দলের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরে জেলা বিজেপি দফতরে বিক্ষোভ দেখান একদল কর্মী। জেলা নেতারা লিখিত সিদ্ধান্ত নেন, নিশীথকে প্রার্থী হিসেবে তাঁরা মানবেন না। দীপক বর্মণকে প্রার্থী করানোর দাবি ওঠে। বিজেপি’র কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা অবশ্য দাবি করেন, কোচবিহারে অন্তর্ঘাত নেই। তিনি বলেন, “অন্য দলে এটা হতে পারে, আমাদের দলে এমনটা হয়নি। অন্তর্ঘাত কেউ করেনি। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করেছে। ফলের দিনই সবায় তা বুঝতে পারবে।”

Politics TMC BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy