ভোট আসলেই তুফানগঞ্জ দুই ব্লকের রায়ডাক নদীর জালধোয়া সেতু নিয়ে সব রাজনৈতিক দল-ই ইস্যু করে। সেই সুযোগ রূপাও ছাড়েননি। —ফাইল চিত্র।
তুফানগঞ্জ বিধানসভার তুফানগঞ্জ দুই ব্লকের জোড়াইয়ে মঙ্গলবার জনসভা করল বিজেপি। এ দিন প্রার্থী জন বার্লাকে নিয়ে জনসভা করেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সকালে বিধ্বংসী ঝড়ে জোড়াইয়ের রাসমেলা ময়দানে বিজেপির জনসভা মঞ্চ এবং চেয়ার টেবিল লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। যদিও ঝড়বৃষ্টি থেমে গেলে কর্মী, সমর্থকরা সবকিছু সামলে নেন। দুপুর একটা নাগাদ রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, জন বার্লাকে পাশে নিয়ে সভা শুরু করেন। এই লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দশরথ তিরকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সংসদে দশরথ তিরকের কার্যকরী ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেন রূপা।
ভোট আসলেই তুফানগঞ্জ দুই ব্লকের রায়ডাক নদীর জালধোয়া সেতু নিয়ে সব রাজনৈতিক দল-ই ইস্যু করে। সেই সুযোগ রূপাও এ দিন ছাড়েননি। তিনি তাঁর বক্তব্যে এই সেতু নিয়ে বাম এবং বর্তমান তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন। তিনি দাবি করেন, জন বার্লা জিতবে। তখন তিনি এই সেতুটির বিষয় নিয়ে অবশ্যই কাজ করবেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জন বার্লা তার বক্তব্যে বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার সন্ত্রাসের সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা সন্ত্রাস করে জিতেছে। তবুও আমরা ডুয়ার্স এলাকায় ভাল ফল করেছি।’’ তিনি দাবি করেন, গত লোকসভা নির্বাচনে ডুয়ার্স এলাকায় বিজেপি এগিয়ে ছিল। এবার সেই ধারা আলিপুরদুয়ার লেকসভা কেন্দ্রে বজায় থাকবে বলে তিনি জানান।
জনসভা শেষে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় প্রার্থীকে নিয়ে ধলপল চণ্ডীরহাট এবং ধলপল বাজারে রোড শো করেন। এ দিনে বিজেপির জনসভায় বেশি লোক না হওয়ার জন্য বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলের হুমকিকে দায়ী করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল ভয় দেখিয়েছে বলেই রাস্তায় বেরিয়েও প্রচুর লোক সভায় আসতে পারেননি। সভায় বিজেপির আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক নিখিলরঞ্জন দে এবং সহ-আহ্বায়ক উৎপল দাস উপস্থিত ছিলেন।
আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দশরথ তিরকে বিজেপির অভিযোগের উত্তরে বলেন, ‘‘ওরা জানেন না, নয়তো মিথ্যে কথা বলছেন। আমি সংসদে, জিরো আওয়ারে জালধোয়া সেতু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। আমি চা বাগানের সমস্যা, নদী ভাঙ্গনের মতো বিষয়গুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। সে কথা এই লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ জানেন। ওরা না-ও জানতে পারেন। আর আমাদের কোনও কর্মী, সমর্থক কোথাও কোনও বাধা দেয়নি। মানুষজন ওদের পাশ নেই। তাই সভায় লোক হয়নি। আমাদের কর্মীদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy