সোমবার থেকে ধর্মঘটে যাচ্ছে এলপিজি গ্যাস সরবরাহকারী চালক সংগঠন এলপিজি ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। রবিবার বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হলেও তার সমাধানসূত্র বের হয়নি। তারপরেই ধর্মঘটে যাওয়ার কথা জানান তাঁরা। ফলে গ্যাস সরবরাহ পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কায় গ্যাস সরবরাহকারী এজেন্সি থেকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তবে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন পরিচালিত চালকদের অন্য একটি সংগঠনের একটা বড় অংশ ধর্মঘটে যাচ্ছে না বলে জানিয়ে দেওয়ায় আপাতত সমস্যা সর্বাত্মক আকার ধারণ করবে না বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এই চালকদের বেশিরভাগই পাহাড়ের হওয়ায় পাহাড়ের ক্ষেত্রেই সমস্যাটা বেশি হবে বলে জানিয়েছেন সরবরাহকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এই ধরণের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় সে ব্যপারে হস্তক্ষেপ করবেন বলে জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ধর্মঘট মেনে নেওয়া যাবে না। দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।’’ মন্ত্রী হস্তক্ষেপ করে সমস্যা সমাধান করুক তা চাইছেন নর্থবেঙ্গল অ্যান্ড সিকিম এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কৌশিক সরকার। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে এমননিতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভয়াবহ অবস্থা। প্রতিদিনই রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। তার মধ্যে বনধ হলে পাহাড়ের জ্বালানি সমস্যা ব্যপক আকার নেবে। সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন। তবে তাঁদের পক্ষ থেকে গাড়ি চালানো হবে স্বাভাবিকভাবেই বলে জানিয়েছেন অন্য একটি সংগঠন আইএনটিটিইউসির চালক সংগঠনের সম্পাদক গোবিন্দ মিত্র। তিনি বলেন, ‘‘আমরা গাড়ি চালাব। পাহাড়েও আমাদের সংগঠনের কিছু চালক রয়েছে। তাঁরাই পাহাড়ে সিলিন্ডার নিয়ে যাবে।’’
বেতন বৃদ্ধি, অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা, প্রতিদিনের খাইখরচের টাকা বাড়ানো সহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ওই চালকেরা। তাঁরা যে সংস্থার গাড়ি চালান, তাঁদের সঙ্গে এদিন সন্ধ্যায় আলোচনাতেও বসেন। তারপরেও সমাধান সূত্র বের না হওয়ায় তাঁরা ধর্মঘটের পথে যাবেন বলে জানিয়ে দেন। সংগঠনের সভাপতি তেগবাহাদুর গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘আমাদের কোনও দাবিই মালিকপক্ষ মানতে চাননি। ওঁরা মসয় চেয়েছেন। আমাদের পক্ষে অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘটের পথে যাচ্ছি।’’ যদিও মালিক সংস্থার কর্ণধার বিজয় গোয়েল বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে চালকদের ২০১৭ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। তারপরেও আমরা দাবি শুনতে রাজি আছি। তবে এখন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের চুক্তি নবিকরণ হয়নি। তাই ওঁদের একটি অপেক্ষা করতে বলেছি। কিন্তু ওঁরা তা শুনতে নারাজ। আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy