মালদহের দশভূজা মহাকালী—নিজস্ব চিত্র।
মালদহে দশভূজা মহাকালীর শোভাযাত্রা বন্ধ করা হল। করোনা আবহের জেরেই এমন সিদ্ধান্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষের। ৯০বছর ধরে ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতি এই পূজার আয়োজন করে আসছে। দেবী এখানে চতুর্ভূজা নন, তিনি দশমাথা বিশিষ্ট দশভূজা মহাকালী। এই মহাকালী পূজিত হন চতুদর্শী তিথিতে।
মালদহ সদর শহরের ইংরেজবাজারে গঙ্গাবাগ এলাকায় নিজস্ব মন্দিরে মায়ের আরাধনা হয়। দেবীর দশ মাথা, দশ হাত ও দশ পা রয়েছে। প্রতিমায় শিবের কোনও অস্তিত্ব নেই। দশ হাতেই অস্ত্র। দেবীর পায়ের তলায় অসুরের কাটা মুণ্ড। ভুত চর্তুদশীর দুপুরে এমনই দশ মাথা বিশিষ্ট মহাকালীর আরাধনায় মাতেন মালদহবাসী। প্রতি বছর প্রতিমা আনার সময় থাকে হরেক রকমের বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্যের দল। শহরবাসী দেখতে পান কলকাতার ধুনুচি নাচ, শিবপুরের ভাঙরা বা চন্দননগরের ক্লাব ব্যান্ড। কিন্তু এই বছর কোনও আয়োজন করা হচ্ছে না।
পাঁঠাবলির রেওয়াজ রয়েছে এই পুজোতে। অনেকেই এই পুজোকে ‘বিপ্লবীদের পুজো’ বলে জানেন। ইংরেজ শাসনকালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জেলার বিপ্লবীরা এই পুজোর সূচনা করেছিলেন ১৯৩০সালে। তবে তা ইংরেজবাজার এলাকার পুড়াটুলিতে হত। পরবর্তী কালে স্থান বদলে গঙ্গাবাগে আসে। ১৯৮৫ সালে পাকা মন্দির তৈরি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy