—ফাইল চিত্র।
প্যানজি, পিটুনিয়া, ডালিয়া, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকাদের নিয়ে প্রতিযোগিতায় মাততে চলেছে মালবাজার। আগামী মঙ্গল ও বুধবার মালবাজারের মাল পার্কে বন দফতরের আয়োজনে শুরু হচ্ছে ৩২তম ফুলমেলা।
চা বাগান ঘেরা মালবাজার শহর। আর বিভিন্ন চা বাগান থেকেই ফুলমেলায় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। বাগানের মালিদের মধ্যে কে ভাল ফুল প্রস্তুত করলেন, তা নিয়েও মধুর একটা প্রতিযোগিতা থাকেই। তবে লড়াই শুধু চা বাগানের মধ্যেই নয়। চা বাগানের সঙ্গে মালবাজার শহরবাসীরও লড়াই জমে ওঠে মেলায়। বড় বড় সংস্থার চা বাগানগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ দিয়ে প্রতিযোগিতায় লড়েন মালবাজারের বিশ্বনাথ পোদ্দার, রবি মোদক, দেবীপ্রসাদ ধরেরা। ভাল মানের ফুল আনতে ট্রেন বা বিমানে চাপিয়ে কলকাতা থেকেও চারাগাছ নিয়ে আসেন তাঁরা।
রবিবার রবি মোদক বললেন, “ফুলমেলার সাফল্য সারা বছরের ক্লান্তি সত্যিই কাটিয়ে দেয়।” চা বাগানের তরফে মালবাজারের ভূমিপুত্র মোগলকাটা চা বাগানের ম্যানেজার মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বললেন, “ছোট থেকেই মালবাজারের ফুলমেলা দেখে আসছি। তাই এই মেলার সুস্থ প্রতিযোগিতা সকলকেই যে আনন্দ দেয় তা জানি।” পঞ্চাশেরও বেশি বিভাগে এই মেলায় ফুলের লড়াই হবে। আপাতত সকলের নজর এই লড়াই দেখতেই।
বন দফতরের তরফে কিছুদিন আগেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মাল পার্ক ঘুরে গিয়েছেন। তিনি পার্ক দেখে উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেন। তবে এ বছর ব্যস্ততার কারণে তিনি ফুলমেলার উদ্বোধনে থাকতে পারছেন না। তিনি এ দিন বলেন, “ডুয়ার্সে এতবড় ফুলমেলা বিশেষ এক আয়োজন। তাই আমাদের সকল কর্মীদের আগাম অভিনন্দন জানিয়েছি।”
ফুলমেলার বিচারক হিসাবে উত্তরবঙ্গ তথা রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত এবং অভিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলীদের আনা হয়। সেই সময়ে দর্শকদের পার্কের বাইরে রেখেই প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করা হয়। দর্শকদের জন্যে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শহরের বিভিন্ন স্কুলপড়ুয়াদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy