মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে চালু হতে চলেছে ক্যানসার রোগের চিকিৎসা পরিষেবা। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে এই পরিষেবা চালুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, এটিই উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ ক্যানসার হাব। একই সঙ্গে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের কোনও সরকারি হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক সিটি সিমুলেটর ও লিন্যাক মেশিন বসানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আধুনিক এই দু’টি মেশিন আপাতত অন্য কোনও সরকারি হাসপাতালে নেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ মেডিক্যাল কলেজের নবনির্মিত ট্রমা কেয়ার ভবনের একাংশ জুড়ে তৈরি করা হয়েছে এই ক্যানসার হাব। ট্রমা কেয়ার ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ক্যানসার রোগের চিকিৎসা পরিকাঠামো ও রোগীদের থাকার ব্যবস্থা। হাসপাতালের ক্যানসার বিভাগে মোট ছ’জন চিকিৎসককেও নিয়োগ করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ক্যানসার হাবের সমস্ত পরিকাঠামো ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। রেডিওথেরাপি করার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতিও মিলে গিয়েছে।
এই বিষয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাসপাতালে অত্যাধুনিক মেশিন বসানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই ক্যানসার আক্রান্তদের রেডিওথেরাপি এবং কেমোথেরাপি দেওয়া শুরু হবে। এই অত্যাধুনিক মেশিনগুলি এর আগে কোনও সরকারি হাসপাতালে ব্যবহার হয়নি। এটা আমাদের গর্বের জায়গা। এই মাসের শেষে বা ডিসেম্বরের প্রথম দিকে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া শুরু হবে। এখন মালদহের ক্যানসার আক্রান্তদের রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপির জন্য বাইরে যেতে হয়। কিন্তু এই পরিষেবা এখন থেকে এই হাসপাতালে শুরু হওয়ায় উপকৃত হবেন।’’
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ক্যানসার হাব শুরু হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই মালদহবাসীদের মনে খুশির অন্ত নেই। শুধুমাত্র মালদহ জেলার ক্যানসার আক্রান্তরা নন, এই পরিষেবা চালু হলে উত্তরবঙ্গ-সহ পার্শ্ববর্তী বিহার ঝাড়খণ্ডের রোগীরাও এই হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাতে পারবেন। ক্যানসার আক্রান্তদের এখন থেকে মালদা মেডিকেল কলেজ থেকেই নিয়মিত ভাবে রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি দেওয়া হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy