মালদহে বিস্ফোরণস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা। — নিজস্ব ছবি।
বোমা বিস্ফোরণের পর এখনও থমথমে মালদহের মানিকচক থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলা গ্রাম। ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করেছে বম্ব স্কোয়াডের একটি দল। আরও বোমা মজুত আছে কি না তা জানতে চলছে তল্লাশি। অন্য দিকে, বিস্ফোরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে।
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর অভিযোগ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় অশান্তি করতেই বোমা মজুত করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তিনি বলেন, ‘‘এই এলাকা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ঝাড়খণ্ড। মাঝে বয়ে চলেছে গঙ্গা। ফলে ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের ব্যবহার করে এই জায়গায় বোমা মজুত করছিল বিজেপি। যা ফেটেই অঘটন।’’
বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডল অভিযোগ করেন ২০১৮-এর পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত গোপালপুর অঞ্চল। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের প্রধান কে হবেন তা নিয়ে এই এলাকায় বোমাবাজি ও গুলির লড়াইয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ বছর ১৭ জুলাই পঞ্চায়েতের কাজের বরাত পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমা ও গুলির লড়াই হয়। তখন তিন জনের মৃত্যু হয়। প্রশাসন সবই জানে। কিন্তু তারা তৃণমূলের দলদাস হয়ে পড়েছে।’’
পুলিশ অবশ্য এই ঘটনায় রাজনীতির রং থাকতে পারে এমন কোনও বিষয় জানায়নি। জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত চলছে।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে বালুটোলার বাসিন্দা আসিরুল ইসলাম বাড়ির পাশে আমবাগানে খেলতে গিয়েছিল। তার সঙ্গে পাড়ার আরও ৫-৬টি শিশু ছিল। ৯ বছরের আসিরুলের চোখে পড়ে ইটভাটার কাছে মাটিতে পড়ে আছে বলের মতো দেখতে একটি জিনিস। আসিরুল তা তুলে নিয়ে বাড়ি চলে আসে। তুতো ভাইকে ডেকে সেই ‘বল’টি নিয়ে খেলতে খেলতে যেতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের অভিঘাতে দুটি শিশুই আহত হয়। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy