জয়তিলক: মালদহের পার্টি অফিসে মোদীর সঙ্গে এ ভাবেই জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া। ছবি: মনোজ মুখোপাধ্যায়
নতুন করে শুরু হওয়া জালনোটের কারবার, চোরাচালান ও মাদক পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে বারবার খবরের শিরোনাম হয় মালদহ। এ বার উত্তরপ্রদেশের তখত বিজেপি দখল করে নেওয়ার পঞ্চায়েত ভোটের আগে মালদহ কংগ্রেসে চিন্তার মেঘ।
গত পঞ্চায়েত ভোটে জেলার ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র চারটি বিজেপি দখল করেছিল। সেগুলো তারা ধরেও রাখতে পারেনি। পরে তৃণমূল সেগুলো কব্জা করে নেয়। কিন্তু তার পরেও বিধানসভা ভোটে বৈষ্ণবনগর আসনটি জিতে নেয় তারা। জেলায় তাদের ভোটব্যাঙ্কও যথেষ্ট বেড়েছে। সেই ভোটব্যাঙ্ককে হাতিয়ার করেই বিজেপি জেলায় সাংগঠনিক প্রভাব বিস্তারের প্রক্রিয়া জারি রেখেছে। উত্তরপ্রদেশের জয় তাতে আরও বাড়তি ইন্ধন দেবে বলেই ধারণা।
মালদহ জেলায় কংগ্রেস বরাবরই শক্তিশালী। গত পঞ্চায়েত ভোটেও জেলা পরিষদ দখল করেছিল তারা। বেশিরভাগ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতও তাদেরই দখলে। যদিও দলবদলের জেরে জেলা পরিষদ, বেশিরভাগ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের হাতছাড়া হয়। তবু এই জেলা এখনও কংগ্রেসের দুর্গ বলেই পরিচিত।
এই দুই শক্তির সঙ্গে মোকাবিলা করতে উত্তরপ্রদেশের জয়কে টনিক করে সংগঠন বাড়াতে ঝাঁপাবে বিজেপি। ফলে জমি দখলের লড়াইয়ে জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা অস্থির হতে পারে বলেও আশঙ্কা।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অজয় গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের জয় আমাদের কাছে তুরুপের তাস। তবে তাতে জেলায় অস্থিরতা বাড়বে না।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ ও বাংলা এক নয়। তবুও আমরা স্ট্র্যাটেজি ঠিক করেই এগোব।’’ জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সাংসদ মৌসম নূর বলেন, ‘‘অস্থিরতার কোনও ব্যাপার নয়। মালদহের মাটি যে কংগ্রেসের, তা আবার প্রমাণ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy