Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী

একযোগে মালদহ স্টেশনে হাজির কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, সাবিত্রী মিত্র ও বাবলা সরকার। কাছেই তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। বিধায়ক নীহার ঘোষও রয়েছেন।

অভ্যর্থনা: কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী আর সাবিত্রী মিত্রকে অনেক দিন পরে পাশাপাশি দেখা গেল ।

অভ্যর্থনা: কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী আর সাবিত্রী মিত্রকে অনেক দিন পরে পাশাপাশি দেখা গেল ।

জয়ন্ত সেন ও অভিজিৎ সাহা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৭ ০৩:০৮
Share: Save:

একযোগে মালদহ স্টেশনে হাজির কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী, সাবিত্রী মিত্র ও বাবলা সরকার। কাছেই তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। বিধায়ক নীহার ঘোষও রয়েছেন। নিজেদের মধ্যে নানা কথাবার্তাও হল তাঁদের। যে আমজনতা মালদহের তৃণমূল রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্টেশনের ছবি দেখে তাঁদের কারও মনে হয়েছিল, সব গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটে গিয়েছে। কিন্তু, শতাব্দী এক্সপ্রেস থামতেই জনতা দেখল ট্রেন থেকে নেমে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় হনহন করে হাঁটতে শুরু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই সকলে বুঝলেন, তাঁর উপস্থিতির সৌজন্যেই ওই সহাবস্থানের ছবি দেখতে পেল মালদহ স্টেশন। মুখ্যমন্ত্রী স্টেশন থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার পরে ফের যে যাঁর মতো নিজস্ব গাড়িতে চলে গেলেন। প্রশ্ন করলে মালদহের তিন শীর্ষ নেতা প্রায় একই সুরে বললেন, ‘‘আমরা তো এক সঙ্গেই তৃণমূলে আছি। তা হলে এক সঙ্গে উপস্থিত হলে বিতর্কের কী আছে!’’

বিতর্ক কিন্তু পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের জেলা নেতাদের কয়েকজনের। কারণ, দলনেত্রী স্টেশন থেকে গাড়ি চড়ে গৌড় ভবনে যেতেই সেখানে আলাদা করে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন নেতাদের একাংশ। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা আটকে দেন। স্টেশনে ও গৌড় ভবনের আশেপাশে তৃণমূলের নেতাদের অনুগামীরা নিজেদের ক্ষোভ-দুঃখের কথা ‘দিদি’কে জানানোর সুযোগ না পাওয়ার জন্য একে অন্যের সমালোচনা করতে থাকেন প্রকাশ্যেই। তৃণমূলের জেলা নেতাদের কয়েকজন জানান, দলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই। যত টুকু মতবিরোধ রয়েছে, তা-ও দলনেত্রীর উপস্থিতিতে মিটে যাবে বলে তাঁদের আশা।

এ দিন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় আধ ঘন্টা দেরিতে কলকাতা থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেস মালদহে পৌঁছয়। মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ট্রেনে উৎসাহীদের ভিড় উপচে পড়ে। স্টেশনে নেমে হাঁটতে হাঁটতে দলের জলের জেলা নেতাদের সঙ্গে টুকটাক কথাবার্তা বলেন তিনি। সূত্রের খবর, সেখানে সকলকে মিলেমিশে জেলায় সংগঠনকে আরও জোরদার করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। স্টেশন থেকে তিনি সোজা চলে যান গৌড় ভবনে। সেখানে থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহে প্রশাসনিক বৈঠক, সভা করবেন তিনি।

ক’দিন আগেই উত্তরবঙ্গ এসেছিলেন মমতা। তারপরেই আবার এলেন। আজ বুধবার তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুরে প্রশাসনিক বৈঠক ও সরকারি জনসভা করবেন। পরদিন মালদহ জেলাতেও তাঁর একই কর্মসূচি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই চার দিনের সফরকে ঘিরে মালদহ জেলা সদর ইংরেজবাজার শহরকে এ দিন সকাল থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে রাত্রিবাস করবেন সেই পুরাতন মালদহের গৌড়ভবন এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। বুনিয়াদপুরেও এদিন থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE