সেই অভিযোগপত্র।
সালিশি সভায় তিন তালাক দেওয়ায় সুবিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার বিন্নাগুড়িতে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দেড় বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় অভিযোগকারিণী জিনাত খাতুনের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জিনাতের উপর অত্যাচার চালাতেন। তাঁদের বিয়েতে অমত ছিল শ্বশুরের। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে স্বামীও তাঁকে মারধর করা শুরু করেন। জিনাত বলেন, “আমি যখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম তখন আমাকে দিয়ে ঘাস কাটাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতেন তাঁরা। এর পর বাপের বাড়িতে চলে আসি। সেখানে আসার পর সন্তানের জন্ম হয়। ফের শ্বশুর বাড়িতে ফিরতে চাইলে স্বামী আমাকে নিতে অস্বীকার করে।”
দুই পরিবারে ঝামেলা মেটাতে গত ১ জুন সালিশই সভা বসায় বিন্নাগুড়ি আঞ্জুমান কমিটি। সেখানেই জিনাতের স্বামী তাঁকে তিন তালাক দেয়া বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যায় আঞ্জুমান কমিটি। বিন্নাগুড়ি অঞ্চল মুসলিম ওয়েলফেয়ার ডেভেলপমেন্ট কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহন্মদ রফিক আহম্মেদ বলেন, “বিন্নাগুরি চা বাগানের ঘটনা। আমরা খবর পাওয়া মাত্রই দু’পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করার জন্য বসেছিলাম। মিটমাটের জন্য কুড়ি দিনের সময় দেওয়া হয় দু’পক্ষকেই। তখন ছেলেপক্ষ জানায় যে তারা সংসার করতে রাজি নয়। এর পর আরও কুড়ি দিন সময় দেওয়া হয় চিন্তাভাবনা করার জন্য।”
রফিক আরও বলেন, “কুড়ি দিন পর আবার সালিশি সভা চলছিল তখন ছেলেটি কমিটির সামনেই তিন তালাক দেয়। যেটা এখন আমাদের দেশে আইনে নেই। কিন্তু তিন তালাক দেওয়াতয় বিষয়টি নিয়ে কমিটি চিন্তিত। আমরা চাইছি এটা নিয়ে কমিটি আর এক বার বিচার করুক। ওরা যদি ঘর সংসার করে তাহলে খুবই ভাল। তা না হলে প্রশাসনিক ভাবে ওরা পদক্ষেপ করবে আমরা সাহায্য করব।” স্বামীর বিরুদ্ধে বিন্নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন জিনাত। অভিযুক্ত স্বামী পলাতক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy