প্রতীকী ছবি।
পেশায় কাঠমিস্ত্রি। তার আড়ালে বাড়িতেই ফেঁদে বসেছিলেন কার্তুজ তৈরির ছোটখাটো কারখানা। পুলিশের তল্লাশিতে কার্তুজ তৈরির এমনই এক কারখানার হদিশ মিলল মালদহের চাঁচলের দেবীগঞ্জে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর লাগাতার তল্লাশি চলছে। চাঁচল ও হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে কয়েক দিনে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও বোমা উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ১০ জন। মঙ্গলবারও সারারাত ধরে একই ভাবে পুলিশের তল্লাশি চলে। কিন্তু অস্ত্রের তল্লাশি চালাতে গিয়ে কার্তুজ তৈরির সম্ভার দেখে পুলিশের চোখ কপালে ওঠে।
একটি পাইপগান, দু’রাউন্ড কার্তুজ, ৩৮টি অর্ধসমাপ্ত কার্তুজ ও কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার দেবীগঞ্জ এলাকায় ওই অভিযানে আইসি সুকুমার ঘোষর পাশাপাশি সামিল ছিলেন এসডিপিও নিজেও। কাঠমিস্ত্রিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সন্তোষ কর্মকার। কার্তুজ তৈরি করে তা বিক্রি করা হত বলে প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ করছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ধৃতকে এ দিন চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়। জেরার জন্য ধৃতকে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ভিন্ রাজ্যে থাকতেন ধৃত সন্তোষ। বছর খানেক দেবীগঞ্জে ফিরেছিলেন। বাড়িতেই কাঠের সরঞ্জাম তৈরির কাজকর্ম করতেন। স্থানীয়রা তাকে কাঠমিস্ত্রি হিসেবেই চিনতেন। তবে কিছুদিন ধরে তার বাড়িতে সন্দেহভাজন কিছু লোকজন যাতায়াত করছে বলে গোপনে খবর পায় পুলিশ। তারপর থেকেই তার উপরে নজরদারি শুরু হয়। তারপরেই মঙ্গলবার গভীর রাতে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।
আপাত নিরীহ কাঠমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার ও কার্তুজ তৈরির বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় উদ্বেগ ছড়ায়। ভিন্ রাজ্যে থাকার সময়েই সে কার্তুজ তৈরিতে হাত পাকিয়েছিল কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। এ ছাড়া কার্তুজ তৈরি করে সে কাকে দিত সব কিছুই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চাঁচলের এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ধৃতের সঙ্গে কাদের যোগ রয়েছে সব কিছুই পুলিশ খতিয়ে দেখছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy