Advertisement
E-Paper

হাসপাতালেই আড্ডা সুস্থ রোগীদের

রোগীরা সুস্থ হওয়ার পরেও হাসপাতাল চত্বর ছাড়তে চাইছে না! এমন দাবি কর্তৃপক্ষের। যেমন সেই সোনালি ডানার চিল। শিলিগুড়ির গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা চিলটিকে সপ্তাহখানেক টানা ওআরএস খাইয়ে সুস্থ করা হয়েছে।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৮
অসুস্থ: বেঙ্গল সাফারি পার্কে উদ্ধার হওয়া চিল। নিজস্ব চিত্র

অসুস্থ: বেঙ্গল সাফারি পার্কে উদ্ধার হওয়া চিল। নিজস্ব চিত্র

রোগীরা সুস্থ হওয়ার পরেও হাসপাতাল চত্বর ছাড়তে চাইছে না!

এমন দাবি কর্তৃপক্ষের। যেমন সেই সোনালি ডানার চিল। শিলিগুড়ির গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা চিলটিকে সপ্তাহখানেক টানা ওআরএস খাইয়ে সুস্থ করা হয়েছে। ছেড়ে দিলেও সন্ধেবেলায় ফের ঘুরঘুর করে সে খাঁচার পাশে। সকাল-সন্ধে বাটি ভর্তি জামরুলের রস খেয়ে লম্ফজম্ফ শুরু করা বাদুর দু’বেলা হাসপাতাল চত্বরের কৃষ্ণচূড়া গাছে এসে দোল খেয়ে যাচ্ছে। বেঙ্গল সাফারি পার্ক চত্বরে থাকা প্রাণী হাসপাতালে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা হওয়া ‘রোগী’র সংখ্যা ৫০। শুধু পার্কের প্রাণী নয়, চিকিৎসা হচ্ছে লোকালয়ে জখমদেরও। চিকিৎসার পরে সুস্থ ‘রোগী’রা থেকে যাচ্ছে গাছ-গাছালি ভরা সাফারি পার্কের চত্বরে।

লক্ষ্মীর কথাই ধরা যাক। চম্পাসারিতে উদ্ধার করে দিন কুড়ি আগে একটি লক্ষ্মী পেঁচাকে বেঙ্গল সাফারি পার্কের প্রাণী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার নাম রাখা হয় লক্ষ্মী। সামনে রাখা খাবার কিছুতেই মুখে তুলত না সে। কর্মীরা বুঝতে পারেন, পেঁচাটি হয়তো কারও পোষা। পরদিন থেকে মুখের সামনে হাতে করে কুচো মাছ সামনে ধরলে সে দিব্যি খেতে শুরু করে। সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, জখম পেঁচাটি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। কিন্তু ছেড়ে দিলেও সে উড়ে যায়নি। বুধবার সকালেও খাঁচার পাশে গাছের ডালে লক্ষ্মীকে বসে ঘুমোতে দেখেছেন কর্মীরা।

‘হাসপাতাল’টি দেখে এসেছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। পরে কথায় কথায় জানালেন, দিল্লি থেকে আরও কয়েকটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এবং চিতাবাঘ এই পার্কে আসতে চলেছে।

তবে রোগীদের থেকে যাওয়া পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও সমস্যা নয়। প্রায় তিনশো হেক্টর জায়গা নিয়ে তৈরি পার্ক। পার্কের অধিকর্তা অরুণ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘মানুষ হোক বা পশুপাখি, আদরযত্ন পেলে কেউই অন্যত্র যেতে চায় না। দু’টো টিয়াকে সুস্থ করে উড়িয়ে দিলেও ওরা পার্কের গাছেই ডেরা বেঁধেছে।’’ তেমনই সুস্থ করে ঘেরাটোপের বাইরে ছেড়ে দিলেও নাকি পার্কে ফিরে এসেছে দশটি হরিণ। সেখানে হরিণের সংখ্যা এখন আড়াইশো ছুঁতে চলেছে।

animal and birds recover Wild life hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy