Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

কাটমানি ফেরত চেয়ে গণধর্ষিতা বধূ 

অভিযোগ, সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য ওই গৃহবধূর কাছ থেকে ৭০০০ টাকা নিয়েছিলেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
ময়নাগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ০৪:৫১
Share: Save:

কাটমানির টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ও দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধেয় ময়নাগুড়ি থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বধূ। নিগৃহীতা গৃহবধূর শারীরিক পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।

অভিযোগ, সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য ওই গৃহবধূর কাছ থেকে ৭০০০ টাকা নিয়েছিলেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য। ঘর পাওয়া তো দূর, সরকারি ঘরপ্রাপকদের তালিকাতেও তাঁর নাম উঠেনি বলে দাবি ধর্ষিতার পরিবারের। বছর ঘুরে গেলেও কাটমানির ওই টাকা অভিযুক্ত ফেরত দেননি বলে দাবি ওই পরিবারের।

১৪ অগস্ট সন্ধেয় অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে কাটমানির ওই টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ ধর্ষিতার। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য-সহ মোট চার জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে গণ র্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষণের পরে তাঁকে শারীরিক ভাবে অত্যাচার করা হয় বলেও দাবি ধর্ষিতার। ধর্ষণের কথা পরিবারের সদস্যদের জানালে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ভয়েই অভিযোগ দায়ের করতে দেরি হয়েছে, দাবি বধূর পরিবারের। জলপাইগুড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ডেনডুপ লেপচা বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

অভিযোগে অস্বতিতে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। জেলা থেকে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা এবং অন্য কর্মীরা আপাতত পলাতক। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে পুলিশকে দিয়ে অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ানোর চেষ্টা চলছে।

তৃণমূলের স্থানীয় নেতারাও কেউ বধূর পাশে দাঁড়াননি। বরং অভিযুক্তের হয়ে যুক্তি দিচ্ছেন তাঁরা। ময়নাগুড়ি ২ নম্বর ব্লক সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘গল্পের গরুকে গাছে উঠানো হচ্ছে। গণধর্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ পাঁচ দিন পর কেন দায়ের করা হল? আসলে এই সব বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’’

ময়নাগুড়ির বিজেপি নেতা অনুপ পাল বলেন, ‘‘আমাদের কাছে খবর আছে, কাটমানির টাকা দিয়েই অভিযোগটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হোক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে অবিলম্বে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। না হলে উচ্চতর বিভাগে দ্বারস্থ হওয়ার রাস্তা খোলা আছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Maynaguri Crime Gang Rape
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE