বাংলা বর্ষবরণের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে গেলেন মেয়র গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র।
বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। সাজিয়ে তোলা হয়েছে পার্ক ময়দান। সেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে এলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। দিলেন তুলিতে টান। অনুষ্ঠানের গানের রেওয়াজও সেরে নিলেন সেখানেই।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠান উপলক্ষে পুরনিগমের সামনে বাঘাযতীন পার্ক ময়দান সংলগ্ন রাস্তায় শনিবার দেওয়া হয়েছে আলপনা। রাত তখন প্রায় সাড়ে ১০টা। কলেজ পাড়ার বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে বাঘাযতীন পার্কে এসে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন গৌতম। প্রস্তুতি দেখতে দেখতেই হঠাৎ রাস্তায় বসে তুলির টানে আঁকিবুঁকি করেন। মঞ্চ থেকে রাস্তা— সমস্তটাই খুঁটিয়ে দেখে বাঘাযতীন পার্ক ময়দানে বসেই শুরু করেন গানের রেওয়াজ৷ খোলা আকাশের নীচে বসে আগামী দিনের অনুষ্ঠানের রেওয়াজ সেরে নেনে মেয়র গৌতম দেব। শোভাযাত্রা থেকে হাজার কণ্ঠের অনুষ্ঠানের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক দলকে। হাজার কণ্ঠের অনুষ্ঠানে গলা মেলাবেন গৌতমও।
বেশ কয়েক দিন আগেই বাড়িতে গানের রেওয়াজের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন মেয়র। সেই ভিডিয়োয় এক শহরবাসী তাঁকে কটাক্ষও করেন। সেই প্রসঙ্গ টেনেই গৌতম বলেন, “স্যোশাল মিডিয়ার যুগে মানুষ খুব ট্রোল করে। কিন্তু আমি যার সঙ্গে কাজ করি সেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকেই এই শিক্ষা পেয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিকাসো বা মকবুল ফিদা হুসেন নন, কিন্তু তাঁর মধ্যে যে শিল্পীসত্তা রয়েছে তা থেকে আমিও খানিকটা উদ্বুদ্ধ হয়েছি। সবটাই করি নিজের আত্মতৃপ্তির জন্য।” তিনি আরও বলেন, “আমার প্রথাগত কোন শিক্ষা নেই৷ সারেগামাপা জানি না। শুনে শুনে গান করা। একটু একটু করে শুনে বুঝে মনের আনন্দে করার চেষ্টা করছি৷ শনিবার বর্ষবরণ উপলক্ষে এত সুন্দর অনুষ্ঠান রয়েছে। এগুলোকেই অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বয়স অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে, কিন্তু শিক্ষার তো কোনও বয়স নেই। সব মিলিয়ে এই যাত্রাটা আমি খুব উপভোগ করছি।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy