জয়ের পুরস্কার। ছবি: নারায়ণ দে।
এতদিন জেলা নেতাদের ফুলের স্তবক ও উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধনা দিতেন বুথ স্তরের কর্মীরা। শনিবার দুপুরে আলিপুরদুয়ার পুরসভা হলে উলটপুরাণ দেখল এই বিধানসভা ক্ষেত্রে ২৭৪টি বুথের কর্মী সমর্থকরা। তাদের সংবর্ধনা জানিয়ে হাতে মেডেল, শংসাপত্র, স্মারক তুলে দিল জেলা নেতারা। নেতাদের দাবি, বিধানসভা ভোটে সাফল্যের পর তা আগামী পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে ধরে রাখা ও কর্মীদের চাঙ্গা রাখার উদ্দেশেই এই সংবর্ধনা।
মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীকে বার বার জয়ের পেছনে সাধারণ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা বলতে শোনা যায়। সৌরভবাবু বলেন, “ রাজ্যে এ ধরণের সংবর্ধনা বেনজির। তৃণমূল কংগ্রেস কেন রাজ্যের কোনও রাজনৈতিক দলই এভাবে বুথ স্তরের কর্মীদের সংবর্ধনা দেয়নি। সাধারণত নেতারা সংবর্ধনা নেন। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যারা বুথ স্তরে খেটে দলকে শক্তিশালী করেন তাঁরাই সংবর্ধনা পাওয়ার যোগ্য।”এ দিন প্রায় দু’হাজার নেতা কর্মীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সমর ভট্টাচার্য জানান, শুধু আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্র নয়, কালচিনি, ফালাকাটা ও কুমারগ্রামে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এমন সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তাছাড়া মাদারিহাটের মতো কেন্দ্রে যেখানে তৃণমূল প্রার্থী না জিতলেও কর্মীরা ভাল কাজ করেন সেখানেও বুথ স্তরের নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনার ব্যবস্থা হচ্ছে।
পুরসভা হলে অনুষ্ঠান শেষে, ম্যাকউইলিয়াম স্কুলে পড়ুয়াদের ক্লাস শেষের পর আয়োজন করা হয়েছিল ভুরিভোজের। সংবর্ধনা সভায় আসা নেতা কর্মীদের জন্য রান্না হয়েছে প্রায় দু’ কুইন্ট্যাল মুরগির মাংস, ১০ কেজি পনির। মেনুতে ছিল ডাল ও ভাজাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, নির্বাচনে জেতার পর সাধারণত নেতাদের সংবর্ধনা দেন সাধারণ কর্মীরা। এ বার সাধারণ কর্মীদের ভোটে জয়লাভের পেছনে অবদানের জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ দিন কর্মীদের দেওয়া মেডেল, শংসাপত্র ও স্মারকে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক চিহ্ন। কাজের পুরস্কার পেয়ে খুশি কর্মীরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy