সুকটাবাড়ি সর্বজনীন দুর্গোৎসবে হিন্দু-মুসলিম সকলেই মাতেন। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ামাত্রই ব্যস্ততা শুরু হয় কোচবিহারের সুকটাবা়ড়ি এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের মধ্যে। দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তা নন। তবে এলাকার মাত্র ১০টি হিন্দু পরিবারের পুজোয় সব রকম সহযোগিতাই করেন। দুর্গাপুজোর বোধন থেকে বিসর্জন— যাবতীয় কাজেই হাত বাড়ান।
কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের সুকটাবাড়ি এলাকার ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তাঁদের মধ্যে থেকেই গত ৫৪ বছর ধরে দুর্গাপুজোর আয়োজন করছে হিন্দু পরিবার সদস্যরা। ধর্মীয় পার্থক্য সরিয়ে রেখে তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুজোমণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে আসা বা বিসর্জন দেওয়া— সবেতেই অংশ নিচ্ছেন এলাকার মুসলিমরা।
সুকটাবাড়ি এলাকায় দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল এলাকার একটি বাঁশের মন্দিরে। তবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তা পাকা করা হয়েছে। চলতি বছর পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন এলাকার মহিলারা। সুকটাবাড়ি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি সম্পাদক বিউটি সাহা বলেন, ‘‘এ বার আমাদের ৫৫তম দুর্গোৎসব। এলাকায় হিন্দু পরিবারের বসতি কম হলেও কখনও দুর্গাপুজোয় সমস্যা হয়নি। হিন্দু-মুসলিম সকলে মিলেমিশেই পুজোর আয়োজন করা হয়। আমাদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ নেই।’’
দেশের নানা প্রান্তে বিভেদের রাজনীতি মাথাচাড়া দিলেও এলাকার হিন্দু-মুসলিম সকলেই মিলেমিশে থাকেন বলে জানিয়েছেন সুকটাবাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা হিন্দু-মুসলিম আলাদা নই। সব সময় মিলেমিশে থাকি। এটা হিন্দুর বা ওটা মুসলিম সম্প্রদায়ের, এখানকার মানুষজন কখনও ভাবেন না। দীর্ঘদিন ধরে এ ভাবেই এই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy