Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

গায়ে ডার্ট নিয়েই ঘুরছে বাঁদর

বাঁদর ধরতে অবশেষে ময়নাগুড়ির বার্নিশ বাজারে বসানো হল খাঁচা। সোমবার দুপুরে খাঁচাটি বসানো হয়৷ তবে বাঁদর অবশ্য এখনও ধরা দেয়নি৷ গত সপ্তাহেই বার্নিশ বাজার এলাকায় বাঁদরটির তাণ্ডব শুরু হয়৷

গাছে গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাঁদরটি। — নিজস্ব চিত্র।

গাছে গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাঁদরটি। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ০২:৩৬
Share: Save:

বাঁদর ধরতে অবশেষে ময়নাগুড়ির বার্নিশ বাজারে বসানো হল খাঁচা। সোমবার দুপুরে খাঁচাটি বসানো হয়৷ তবে বাঁদর অবশ্য এখনও ধরা দেয়নি৷ গত সপ্তাহেই বার্নিশ বাজার এলাকায় বাঁদরটির তাণ্ডব শুরু হয়৷ বাঁদরের কামড়ে এক মহিলা জখম ও দুই শিশুর হাতে নখের আঁচড় বসার পর স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন স্থানীয় এক পরিবেশপ্রেমী সংগঠনকে৷ তাদের থেকে খবর পেয়ে শুক্রবার এলাকায় যান বন দফতরের কর্মীরা৷ ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে চার ঘণ্টা ধরে বাঁদরটিকে কাবু করার চেষ্টা করে তারা৷ শেষবেলায় বাঁদরটির গায়ে ঘুমপাড়ানি গুলি লাগলেও সে ধরা দেয়নি ৷

তার পর দুদিন বাঁদরের দেখা না মিললেও এ দিন সকাল থেকেই ফের এলাকায় তার আবির্ভাব হয়৷ কিন্তু শরীরে ডার্ট ঢুকে থাকায় এ দিন অনেকটাই নিস্তেজ ছিল সে৷ ফের এলাকাবাসী পরিবেশপ্রেমী সংগঠনে খবর পাঠান৷ সেখান থেকে বন দফতরে খবর পাঠানোর পর বনকর্মীরা একটা খাঁচা সংগঠনের কর্মীদের পাঠান৷ তারপর তা এলাকায় বসানো হয় ৷ কিন্তু সারাদিনে সেই খাঁচায় বন্দি হয়নি বাঁদরটি৷ তবে শরীরে ডার্ট লেগে থাকার কারণে বাঁদরটি অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ায় চিন্তা বাড়ছে বিভিন্ন মহলে৷ পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের অন্যতম কর্তা নন্দু রায় বলেন, ‘‘এতক্ষণ ডার্ট বিঁধে থাকার কথা নয়। বাঁদরটি দুর্বল হয়ে পড়ছে৷ আমরা বন দফতরে বিষয়টি জানিয়েছি৷’’ গরুমারার ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, ‘‘ডার্টটি কোনও কারণে বাদরটির শরীরে বিঁধে থাকলেও তা নিজে থেকেই খুলে পড়বে৷ যদি তা না হয়, তবে প্রয়োজনে আবার ঘুমপাড়ানি গুলির সাহায্যে বাঁদরটিকে কাবু করে ডার্টটি বের করা হবে৷ এটা নিয়ে চিন্তার কারণ নেই৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Monkey Rescue
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE