মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় ছাড়তেই গোর্খাল্যান্ড-এ ফিরল মোর্চা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাহাড় ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফের গোর্খাল্যান্ডের পক্ষে সওয়াল করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ।
এ দিন সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নেপালি ভাষায় গোর্খাল্যান্ডের কথা বলে পাহাড়ের বাসিন্দাদের একজোট হওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
এ দিন দুপুরে কালিম্পঙে লেপচা বোর্ডের অনুষ্ঠান-সহ একাধিক কর্মসূচি সেরে তিন দিনের পাহাড়-সফর সেরে শিলিগুড়ি নেমে যান মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলেই উড়ে যান কলকাতায়।
গুরুঙ্গ ফেসবুক পোস্টটিতে জানান, পাহাড়ের জন্য জিটিএ বা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়। জিটিএ কেবলমাত্র বর্তমান সময়ের একটা দাবি মাত্র। সেই সময় আমরা তা গ্রহণ করেছি। যখন সঠিক সময় আসবে, তখন আমরা গোর্খাল্যান্ডের জন্য আন্দোলন শুরু করব। গুরুঙ্গের পোস্ট বলছে--আমি গোর্খাল্যান্ড আদায়ের জন্য পুরোপুরি সমর্পিত। আলাদা রাজ্যই আমার লক্ষ্য এবং স্বপ্ন। দ্রুত এই স্বপ্ন পূরণ হবে। গোর্খাল্যান্ড তৈরির আনন্দে আমাদের উৎসব করতে হবে। সে জন্য পাহাড়বাসীকে একজোট হয়ে থাকবে হবে। গুরুঙ্গ পাহাড়বাসীকে বলেছেন, ‘এই পাহাড় আমাদের সকলের বাবা এবং পূর্ব পুরুষদের রক্ত এবং ঘামে ভেজা। এর সামনে কোনও পদ বা চেয়ারের কোনও মানেই হয় না। আর যাঁর নিজের জায়গা বা জমি নেই, সে অনাথের মত। আলাদা রাজ্য আমাদের গত ১০০ বছরের দাবি। আমাদের আগামী প্রজন্মকে বর্তমানে দাসত্ব থেকে মুক্ত করতেই হবে। তাঁরা মাথা উঁচু করে কেবলমাত্র ভারতবাসী হিসাবে থাকবেন। এর জন্য পাহাড়কে পশ্চিমবঙ্গের খাঁচা থেকে পুরোপুরি মুক্ত করতেই হবে।’
এর পরেই তাঁর সংযোজন, আমার দেখে দুঃখ হচ্ছে ক্ষমতা, টাকার লোভে অনেকেই পথ ভুল করছেন। তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন এ সব সাময়িক। আজ আছে, কাল নাও থাকতে পারে। রাজনীতিতেও যেমন ওঠানামা রয়েছে। তা ছাড়া অনেক বাধা, বাধ্যবাধকতা থাকে, কিন্তু সকলে এক জোট হয়ে কাজ করে তা সহজেই সমাধান করা যায়।’
বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে একাধিকবার পাহাড়ে আসছেন। নানা প্রকল্পের পাশাপাশি লেপচা, তামাঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদও গঠন করেছেন। সেই সঙ্গে এ বারের সফরে পাহাড়ে তাঁর একটি দফতর খোলার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার তো বটেই শাসক তৃণমূলের উপর চাপ বজায় রাখতে মোর্চা সভাপতি ফেসবুকে ওই বক্তব্য তুলে ধরেছেন বলে পাহাড়ের রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
এই প্রসঙ্গে পাহাড়ে শাসকদলের নেতা বিন্নি শর্মা গুরুঙ্গকে কটাক্ষ করেছেন, “পুরোটাই একটা রাজনীতি। মোর্চা এবং গুরুঙ্গ বারবার পাহাড়ের মানুষের ভাবাবেগ নিয়ে খেলা করে চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy