E-Paper

চার হাজারের বেশি বাড়ির ক্ষতি পাহাড়ে

জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সব চেয়ে বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দার্জিলিঙের বিজনবাড়ি এবং সুখিয়াপোখরি ব্লকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:০৬
দুর্যোগ বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ।

দুর্যোগ বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ। ফাইল চিত্র।

ধসে বিপর্যস্ত পাহাড়ে বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বাড়ছে। প্রাথমিক ভাবে কয়েকশো বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত বলে দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হলেও সমীক্ষায় তা আরও অনেক বেড়েছে। দার্জিলিং জেলায় পাহাড়ের দার্জিলিং, কার্শিয়াং এবং মিরিক— তিনটি মহকুমাতে অন্তত চার হাজারের মতো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে। প্রশাসনের একটি সূত্রে জানানো হয়েছে, তার মধ্যে তিন হাজারের বেশি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড় এবং সমতলে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির জন্য এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপর্যয়ের পরে উত্তরবঙ্গে এসে ঘোষণা করেছিলেন। তবে তা কবে মিলবে তা এখনও স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সব চেয়ে বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দার্জিলিঙের বিজনবাড়ি এবং সুখিয়াপোখরি ব্লকে। এই দুই ব্লকে এক হাজার করে দুই হাজারের মতো বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সমীক্ষার কাজ এখনও পুরোপুরি হয়নি। বিশেষ করে বিজনবাড়ির লোধামা-২, রিম্বিক এলাকায় এখনও সমীক্ষার কাজ চলছে। সেখানে প্রত্যন্ত এলাকায় ধসে রাস্তাঘাট এতটাই বিপর্যস্ত হয়েছে যে প্রশাসনের তরফে ধস সরাতে অনেকটাই সময় লাগছে। মিরিক মহকুমায় সৌরিণী, তাবাকোশির মতো এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি। মিরিক মহকুমাতে সাতশোর কিছু বেশি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কার্শিয়াং ব্লকে সাড়ে তিনশোর মতো বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে সমস্ত এলাকায় ঘরবাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে দুধিয়া, সেন্ট মেরিজ, দিলারাম গ্রাম পঞ্চায়েত, ডাউহিল এলাকা। কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কালিম্পং জেলাতেও।

দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য টাকা দেওয়া হবে। তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে দেওয়া হবে। তাঁরা নিজেরাই বাড়ি তৈরি করে নেবেন। কিছু বাসিন্দার বাড়ির জায়গা ধসে বিপন্ন হয়েছে। প্রশাসনের তরফে তাঁদের জায়গা দেওয়ার কথাও হয়েছে। জেলা প্রশাসন সে সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করেছে। তবে অনেকে পুরনো জায়গা ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাইছেন না বলে তা নিয়ে কিছু সমস্যার কথাও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri Natural Disaster

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy