E-Paper

কংগ্রেসের গড়ে তৃণমূলের পতাকা ধরেন মোস্তফাই

স্থানীয়দের দাবি, মোস্তফা শেখের একাধিক গুদাম ছিল। সে সব গুদাম তিনি ভাড়া দিতেন। তাঁর চার ছেলে-মেয়ে। প্রত্যেকেই বিবাহিত।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৩ ১০:১৫
কান্নায় ভেঙে পড়লেন মুস্তফা শেখের স্ত্রী। ছবি: স্বরূপ সাহা

কান্নায় ভেঙে পড়লেন মুস্তফা শেখের স্ত্রী। ছবি: স্বরূপ সাহা

কংগ্রেস, তৃণমূলের পতাকায় ঢেকেছে গ্রামের রাস্তা। চায়ের দোকানের পাশে খুলেছে দু’দলের নির্বাচনী কার্যালয়ও। শনিবার দুপুরের পর থেকে মোড়ে মোড়ে জটলা থাকলেও মোটের উপর নিস্তব্ধই কালিয়াচকের সুজাপুরের বালুপুর গ্রাম। এ দিন দুপুরে গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা মোস্তফা শেখকে (৬২) খুনের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের গড়ে তাঁর বাবাই প্রথম তৃণমূলের পতাকা ধরে ছিলেন, দাবি মৃত মোস্তফা শেখের মেয়ে সুমি খাতুনের। তিনি বলেন, “২০০৮ সাল থেকে বাবা তৃণমূল করছেন। তিনিই প্রথম গ্রামে তৃণমূলের পতাকা ধরেছিলেন। তৃণমূল করার জন্য কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান, আসমাউল শেখদের হাতে মার খেতে হয়েছিল আগেও।”

স্থানীয়দের দাবি, মোস্তফা শেখের একাধিক গুদাম ছিল। সে সব গুদাম তিনি ভাড়া দিতেন। তাঁর চার ছেলে-মেয়ে। প্রত্যেকেই বিবাহিত। মোস্তফাও প্রথম দিকে কংগ্রেস করতেন। ২০০৮ সালে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি তৃণমূলের সুজাপুরের অঞ্চল কার্যকরী সভাপতিও হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁর স্ত্রী জিবু বিবি তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে জয়ী হলে দল তাঁকে প্রধান করে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল মান্নানের কাছে জিবু হেরে যান, দাবি পরিবারের। জিবুর দাবি, “স্বামীকে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে মারধর করা হয়েছিল। এ বার মানুষটাকে একেবারে শেষ করে দিল!”

অভিযোগ, এ দিন দুপুরে গ্রামের মধ্যে প্রকাশ্যে তাঁকে পিটিয়ে খুন করে কংগ্রেস কর্মী আব্দুল মান্নান, আসমাউল শেখেরা। প্রকাশ্যে দিবালোকে খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জিবু বলেন, ‘‘দিনের বেলায় সবার সামনে আমার স্বামীকে খুন করা হল। আমরা চাই অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করে শাস্তি দিক।’’

কী কারণে খুন? স্থানীয়দের দাবি, মোস্তফা নিজে প্রার্থী না হলেও, বালুপুরের ১৩৩, ১৩৪ এবং ১৩৫ নম্বর বুথে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ রেজিনা বিবি, মনিরুল ইসলাম এবং সেলিম শেখকে প্রার্থী করেছেন। সে প্রার্থী পদ নিয়ে মান্নানদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল। এ ছাড়া, নির্বাচনী কার্যালয়ে পতাকা টাঙানো নিয়েও দু’পক্ষে বচসা হয় বলে জানান বড় ছেলে সামিম আকতার। তাঁর দাবি, “কার্যালয়ে পতাকা টাঙানো নিয়েও বাবাকে কংগ্রেস কর্মীদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। বাবাকে খুন হতে হবে তা কখনও ভাবতে পারিনি!”

ময়না-তদন্তের পরে, রাতে মোস্তফার দেহ পৌঁছতেই ভিড় উপচে পড়ে গ্রামে। তৃণমূলের নেতা, নেত্রীরাও গ্রামে পৌঁছন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal Panchayat Election 2023 Sujapur Murder

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy