বাড়ির সামনে মদের আসরে চলা গোলমালের প্রতিবাদ করায় এক মহিলা ও তাঁর ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার ইংরেজবাজার থানার কাজিগ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতের রামপাড়া গ্রামে। ঘটনায় স্থানীয়েরা আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মহিলার ছেলের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় সোমবার সকালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ওই মহিলা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত মহিলার নাম পারমনি ঋষি। তাঁর স্বামী রাখাল ঋষি দিনমজুরি করতেন। মহিলার ছেলের নাম শচীন ঋষি। তিনি কুলির কাজ করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পারমনিদেবীর স্বামী রাখালবাবুর বয়স হয়ে যাওয়ায় কাজ করতে পারেন না। তাঁর দুই ছেলে। বড়ো ছেলে বিজু বাড়িতেই চায়ের দোকান করেন এবং ছোট ছেলে শচীন কুলির কাজ করেন। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই পারমনিদেবীর বাড়ির সামনে মদের আসর বসে। এমনকি কখনও তাঁর বাড়ির বারান্দাতেও আসর বসে বলে অভিযোগ। এদিন রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বাড়ির সামনে মদের আসর বসায় তিন প্রতিবেশী। অভিযোগ মদের আসরে গোলমাল বেধে যায়। পরে তা হাতাহাতিতে গড়িয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে ঘর থেকে বাইরে বেড়িয়ে আসেন পারমনিদেবী। সেই সময় বাঁশ দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। মাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় ছোট ছেলে শচীনও। ঘটনায় গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পড়শিরা ছুটে গেলে অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মা ও ছেলেকে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন গ্রামবাসীরা।
যদিও ঘটনার পরিপপ্রেক্ষিতে এখনও থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি। পারমনিদেবী বলেন, ‘‘দৈনিক বাড়ির সামনে মদের আসর বসে। মদের আসরে চলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ। এদিন নিজেদের মধ্যেই হাতাহাতি হচ্ছিল। এই দেখে আমি বাইরে গিয়ে নিষেধ করলে, আমাকেই মারতে শুরু করে দেয়। আমার ছেলেকেও মারধর করে তারা।’’ শচীনবাবু বলেন, ‘‘থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy