প্রায় তিন বছর পর নিখোঁজ ছেলে উদ্ধারের খবর পৌঁছেছে কাঁটাতারের এপারে। কিন্তু হিলিতে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম শ্রীরামপুরে ওই যুবকের মা মিনা বর্মণের মনে শান্তি নেই। একই বাড়ি থেকে ওই যুবকের বাবাও গত ১০ বছর আগে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। এখন বাংলাদেশ থেকে ছেলেকে ফিরে পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন মিনা।
হিলি ব্লকের ধলপাড়া পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর গ্রামের যুবক সুশান্ত বর্মণ ২০১৭ সালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। পরিবার জানতে পারে, কাঁটাতারের ওপারে বাংলাদেশের দিনাজপুরের এক মহিলার সঙ্গে তিনি ঢাকায় রয়েছেন। মিনার দাবি, পাসপোর্ট, ভিসা করে তিনি ২০১৮ সালে বাংলাদেশে গিয়ে ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ করেন। পরে বাংলাদেশের একটি আদালতের নির্দেশে সে দেশের সিআইডি সুশান্তকে সম্প্রতি খুঁজে পায়। বাংলাদেশ হাই কমিশন সূত্রে খবর, ওই যুবক আদৌ অপহৃত হয়েছেন কিনা, যাচাই করা হচ্ছে।
সুশান্তের খোঁজ মিলেছে বলে বুধবারই মিনাকে ফোন করে জানানো হয়। এদিন শ্রীরামপুরে বাড়িতে যেতেই ছেলে আর স্বামীর পরিচয়পত্র নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মিনা। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ জানিয়েও স্বামীর খোঁজ মেলেনি। ছেলের খোঁজ পেয়েও কাছে পাচ্ছি না।’’ ছেলের বাড়ি ফেরা আর স্বামীর খোঁজ মেলার অপেক্ষাতেই এখন দিন গুনছেন ওই মহিলা। বিনা নথিতে সুশান্ত বাংলাদেশ গিয়েছিল বলে দাবি মিনার। আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য সুশান্তকে সাজার মুখেও পড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন পড়শিরা।