এলাকা দখলের লড়াইকে ঘিরে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল মালদহের কালিয়াচক থানার মোজমপুর। কয়েকদিন ধরেই বিক্ষিপ্ত গোলমাল চলছিল এলাকায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। শুরু হয় যথেচ্ছ বোমাবাজি। গুলিও চলে। দুটি বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। এক পঞ্চায়েত সদস্যাকে বিবস্ত্র করে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। তবে কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি।
দুই গোষ্ঠীর বিবাদ থামাতে গিয়ে পুলিশও আক্রমণের মুখে পড়ে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পুলিশকেও শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালাতে হয় বাসিন্দাদের দাবি। পুলিশ জানায়, বেলা দেড়টা থেকে প্রায় তিনটে পর্যন্ত লাগাতার সংঘর্ষ চলে এলাকায়। বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আরেক অংশ অবশ্য দাবি করেছেন, তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তির জেরেই এই হামলা।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী গুলি চালানোর কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন,“দু’দলের মধ্যে সর্ংঘষ থামাতে এলাকায় বিশাল বাহিনী ও র্যাফ নামানো হয়। পুলিশি টহল চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “যারা গোলমাল করছে তারা যে দলেরই হোক না কেন তাদের গ্রেফতার করে শান্তি ফিরিয়ে আনা দরকার।”
এই ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলকে দায়ী করেছেন এলাকার কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। তিনি বলেন, “বাম আমলে মোজামপুর সিপিএমের দখলে ছিল। সরকার পরিবর্তনের পর এখন এই এলাকা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। মোজামপুরে কংগ্রেসের কোন অস্তিত্বই নেই। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সর্ংঘষে মানুষ আতঙ্কে এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন।” মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “মোজমপুরে তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীরা দুপুরে আমাদের দলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে ঢুকে লুঠপাট করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের এক পঞ্চায়েত সদস্যা বাধা দিতে গেলে তাঁকে বিবস্ত্র করে মারধর করেছে। হামলাকারীরা সকলেই কংগ্রেসের আশ্রয়ে। কংগ্রেস সাংসদ দোষ ঢাকতে আমাদের দলের গোষ্ঠী কোন্দল বলে পাড় পেতে চাইছেন।” জেলার আরেক মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন,“অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy