Advertisement
০৯ মে ২০২৪

রাজবাড়ির জমি ব্যবহার করা নিয়ে বিতর্কে পুরসভা

বিনা অনুমতিতে রাজবাড়ির জমি ব্যবহার নিয়ে বিতর্কে জড়ালো জলপাইগুড়ি পুরসভা৷ ইতিমধ্যেই রাজবাড়ির তরফে পুরসভার কাছে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩৫
Share: Save:

বিনা অনুমতিতে রাজবাড়ির জমি ব্যবহার নিয়ে বিতর্কে জড়ালো জলপাইগুড়ি পুরসভা৷ ইতিমধ্যেই রাজবাড়ির তরফে পুরসভার কাছে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে৷ তবে পুর কর্তৃপক্ষের সাফ কথা, তারা বিনা অনুমতিতে কারও ব্যক্তিগত জমি ব্যবহার করছেন না ৷

ঘটনার সূত্রপাত হয় বন্যা দূর্গতদের জন্য একটি ফ্ল্যাড সেন্টার বানানোকে কেন্দ্র করে৷ জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির পেছন দিকে তৈরি হচ্ছে এই সেন্টারটি। অভিযোগ, নির্মাণ কাজের জন্য বিনা অনুমতিতে রাজবাড়ির জমির ওপর দিয়ে ট্রাক বোঝাই করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ তাতেই আপত্তি রাজ পরিবারের প্রতিনিধিদের৷ জলপাইগুড়ি রাজ পরিবারের প্রতিনিধি প্রণত বসুর পুত্র সৌম্য বসু বলেন, ‘‘নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যেতে রাজবাড়ির জমির একটা অংশে কার্যত অস্থায়ী রাস্তা বানিয়ে ফেলা হয়েছে ৷ অথচ, আমাদের থেকে এ ব্যাপারে কোন অনুমতিই নেওয়া হয়নি৷ এ নিয়ে আপত্তি জানালেও কথা শোনেননি ঠিকাদাররা৷ তাই বাধ্য হয়ে পুরসভাকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে৷’’ সৌম্যবাবুর দাবি, নোটিস পাঠানোর পর এ দিন ওই জমির ওপর দিয়ে আর কোনও ট্রাক ঢোকেনি৷ তাঁদের আইনজীবী সুব্রত কর্মকার বলেন, ‘‘যে ভাবে বিনা অনুমতিতে ওই জমি ব্যাবহার করা হচ্ছে তাতে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে৷’’ এ দিকে এই আইনি নোটিসের একটি কপি গিয়েছে এই কাজে বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার কাছেও৷ ওই সংস্থার অংশীদার রাজু সাহা বলেন, ‘‘নোটিস পাওয়ার পর বিষয়টি পুরসভাকে জানিয়েছি৷ এখন পুরসভা যেমনটা সিদ্ধান্ত নেবে তেমনটাই আমরা করব৷’’

যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু এ দিন বলেন,‘‘বন্যা দূর্গত প্রচুর মানুষের স্বার্থে ওখানে নির্মাণ কাজ চলছে৷ কোনও একজনের কথায় তা বন্ধ থাকবে না৷ তাছাড়া, কারও ব্যক্তিগত জমির ওপর দিয়ে নির্মাণ সামগ্রী যাচ্ছে না। তাই কাজ চলবে৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jalpaiguri Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE