কাজ হল গোপন চিঠিতেই৷ বেআইনি ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করল জলপাইগুড়ি পুরসভা৷ সোমবার রাতে আচমকাই অভিযান শুরু হয়। শহরের মার্চেন্ট রোড ও দিনবাজারের কাছে ফুটপাথের পঞ্চাশটিরও বেশি দোকান তুলে দেওয়া হয়৷ বাজেয়াপ্ত হয় দোকানের সামগ্রী৷ জলপাইগুড়ি শহরে ফুটপাথ দখল নিয়ে সমস্যা দীর্ঘ দিনের৷
শহরের অনেক বাসিন্দারই অভিযোগ, এমনিতেই শহরের রাস্তা প্রশস্ত নয়৷ তার উপরে ফুটপাথের উপর অনেক দোকান চলে আসায় যান চলাচল থেকে শুরু করে পথচারীদের চলাফেরা—সবেতেই সমস্যা হয়৷ বাসিন্দার সংখ্যা যে হারে বেড়েছে, সেই হারে রাস্তা বাড়েনি। গাড়িও বেড়েছে। ফুটপাথ দখল হয়ে থাকায় অনেক সময় রাস্তার পরিসরেই টান পড়ছে। মানুষ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। পুরসভা সূত্রের খবর, নানা সময়ই বাসিন্দারা পুরকর্তাদের কাছে ফুটপাথ দখল মুক্ত করার আবেদন করেছেন৷
নব্বইয়ের দশকে কলকাতায় ‘অপারেশন সানশাইন’ প্রকল্পে অনেক ফুটপাথ দখলমুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সে সময়েই কথা ওঠে, ফুটপাথে দোকান চালিয়ে যাঁরা সংসার চালান, তাঁদের কী হবে। সে প্রশ্নেই পরে দখলমুক্ত করার প্রসঙ্গ চাপা পড়ে যায়। কলকাতার সেই সব রাস্তা ফুটপাথ আবার ভরে যায়। এ ক্ষেত্রেও, একই আশঙ্কা করছিলেন শহরবাসীর অনেকে। তাঁরা মনে করছিলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এই কারণ দেখিয়ে ফুটপাথ দখলমুক্ত করার বিরোধিতা করতে পারে। ফলে নিজেদের নামধাম গোপন করে অনেকে ‘গোপন চিঠি’ লিখে পুরকর্তাদের কাছে ফুটপাথ দখলমুক্ত করার আর্জি জানান৷
অবশেষে এ দিন সন্ধ্যায় আচমকাই কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নেন পুরকর্তারা৷ চেয়ারম্যান মোহন বসু ও চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সন্দীপ মাহাতোর নেতৃত্বে চলে এই অভিযান৷
সন্দীপবাবু বলেন, ‘‘পুজোর আগে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল৷ মাইকিং-ও করা হয়৷ কিন্তু কাজ হয়নি৷’’ এ দিন অভিযান আচমকা হলেও আগামী দিনেও যে এই অভিযান চলবে তা চেয়ারম্যান মোহন বসু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ফুটপাথ দখল হয়ে থাকায় প্রচুর মানুষ সমস্যায় পড়ছেন৷ তাই অভিযান চলবেই৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy