Advertisement
E-Paper

খুনের ধারাও যোগ সঙ্গীতা মামলায়

খুন বা পাচারের উদ্দেশেই শিলিগুড়ির জিম-পার্লারের কর্মী সঙ্গীতা কুণ্ডুকে অপহরণ করা হতে পারে বলে সিআইডির সন্দেহ। তদন্তে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য-অভিযোগ মেলার পরেই জেলা আদালতে লিখিত ভাবে সন্দেহের কথা জানিয়েছে সিআইডি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:২৫

খুন বা পাচারের উদ্দেশেই শিলিগুড়ির জিম-পার্লারের কর্মী সঙ্গীতা কুণ্ডুকে অপহরণ করা হতে পারে বলে সিআইডির সন্দেহ। তদন্তে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য-অভিযোগ মেলার পরেই জেলা আদালতে লিখিত ভাবে সন্দেহের কথা জানিয়েছে সিআইডি। জেলা আদালত সূত্রের খবর, সঙ্গীতা অপহরণ মামলায় খুন বা পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগের দুই ধারা ৩৬৪ এবং ৩৬৬ যোগ করেছে সিআইডি।

নিখোঁজ হওয়ার পরে চার মাস পেরিয়ে গেলেও ওই তরুণীর কোনও খোঁজ মেলেনি। পরিবারের সদস্য তো বটেই পরিজন, বন্ধুবান্ধব কাউকেই সঙ্গীতা ফোন করেননি। সে কারণেই মা এবং পরিবারের সদস্যরা খুন বা পাচারের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বলে সিআইডির দাবি। তবে আইনজীবীদের একাংশের দাবি নির্দিষ্ট তথ্য-অভিযোগ না পেলে এমন দু’টি ধারা সিআইডি যুক্ত করতে না। সূত্রের খবর সিআইডির একটি দল ভিন রাজ্যেও খোঁজ চালাচ্ছে। তরুণীর দাদা শম্ভুবাবু বলেন, ‘‘আমরা খুব ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। বোনের কোনও হদিশ না মেলা পর্যন্ত মা ঘুমোতে পারছেন না।’’

আজ, সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে সঙ্গীতার মামলার শুনানি রয়েছে। সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, খুন অথবা পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলাও যুক্ত হওয়ায় এ দিনও আদালতে ধৃত পরিমল সরকার সহ অন্যদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করা হবে। সঙ্গীতা নিখোঁজ মামলায় মূল অভিযুক্ত দাবি করে জিম–পার্লারের মালিক পরিমলবাবু সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরিমলবাবুর দেওয়া সেবক রোডের ফ্ল্যাটেই সঙ্গীতা থাকতেন। সেখান থেকেই গত অগস্ট মাসে তিনি উধাও হয়ে যান বলে পরিমলবাবুর দাবি। কিন্তু তিনি মিসিং ডায়েরি করেছেন ২৬ অগস্ট। মামলার সরকারি আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিআইডির আবেদনের ভিত্তিতে খুন এবং পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলাও রুজু হয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ধারা যুক্ত হওয়ায় মামলার ধার অনেকটাই বেড়ে গেল। এই ক্ষেত্রে জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করা হবে।’’

প্রথমে ভক্তিনগর থানা সঙ্গীতার পরিবারের দায়ের করা মামলা নিতেই চায়নি বলে অভিযোগ। পরে মামলা হলেও তদন্ত একচুলও এগোয়নি বলে পরিবারের দাবি। শেষে সিআইডির হাতে জিম পার্লারের কর্মী তরুণী নিখোঁজের মামলা যায়।
নানা সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে সিআইডি। তদন্তভার হাতে নেওয়ার মাসখানেক পার হয়ে যাওয়ার পরে সিআইডি খুন অথবা পাচারের সন্দেহ প্রকাশ করায় তদন্তের অগ্রগতি হতে চলেছে বলে পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন। আজ সোমবার জেলা আদালতে সিআইডির আরেক প্রস্ত রিপোর্ট (ফরোওয়ার্ডিং) পেশ করার কথা। তাতেই তন্দের কিছুটা খোলাসা হতে পারে বলে আইনজীবীরাও মনে করছেন। ধৃত পরিমলবাবুর আইনজীবীদের অবশ্য দাবি তাঁদের মতামত না শুনে নতুন ধারা যুক্ত করা বাঞ্ছনীয় নয়। পরিমলবাবুর অন্যতম আইনজীবী অত্রি শর্মা বলেন, ‘‘আদালতে মামলা উঠলেই বোঝা যাবে। তবে এতদিন আমার মক্কেলদের আটকে রাখার পরেও সিআইডি কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। শুধুমাত্র জেলে আটকে রাখার জন্যই নতুন নতুন গল্প ফাঁদছে। যা বলার আদালতে বলব।’’

Murder charge Sangeeta
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy