যুবক খুনের কিনারা না হওয়ায় আতঙ্কে ভুগছেন রায়গঞ্জের মানুষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয় শহরের বাসিন্দা পেশায় ঠিকাদার টিঙ্কুয়া ঠাকুরকে (৩৯)।
বুধবার রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের তার ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশের দাবি, ওই যুবকের ঘাড়ে, মাথায় ও পেটে পাঁচটি গুলির ক্ষত মিলেছে। টিঙ্কুয়া এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন সকালে এলাকার বাসিন্দারা এফসিআই ও মোহনবাটি বাজারের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর আতঙ্কে শহরের সুপারমার্কেট থেকে বিবিডি মোড় পর্যন্ত বেশিরভাগ দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। দুষ্কৃতীদের আড্ডাস্থল সন্দেহে এফসিআই মোড় এলাকায় কয়েকটি অস্থায়ী আনাজের দোকান ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরের দাবি, খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম গোপন রাখা হয়েছে। অভিযুক্তরা যে মোটরবাইকে করে এসে টিঙ্কুয়াকে খুন করেছিল সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাদের খোঁজ চলছে। পুলিশ সুপারের কথায়, ‘‘ঠিকাদারি ব্যবসার দখলদারি নিয়ে বচসা চলাকালীন টিঙ্কুয়ার এক পরিচিত যুবক তাঁকে গুলি করে খুন করে। এক যুবককে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’
অশোকপল্লি এলাকার অমর সুব্রত ক্লাবের দুর্গামন্দির সংলগ্ন এলাকায় পর পর পাঁচটি গুলি করে টিঙ্কুয়াকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। নিহতের পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপারের দাবি, নিহত ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, মারপিট সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রয়েছে।