কোথাও মিলছে ইলিশ পাতুরি। কোথাও ইলিশ ভাপা। আবার কোথাও সর্ষে ইলিশ। পুজোয় এবার মন কেড়েছে ইলিশের আইটেম। ষষ্ঠী থেকেই ভিড় হতে শুরু করেছে কোচবিহারের রেস্তোরাঁ ও হোটেলগুলিতে। মটন চাপ কিংবা চিকেন কষার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। কোথাও কোথাও তো ইলিশের চাহিদা সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ভবানীগঞ্জ বাজারের কাছে একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় তো এবারে বাঙালি ডিশ রাখা হয়েছে। সেখানে ইলিশের তিন থেকে চারটি আইটেম রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে মিলছে ভেটকি, পাবদাও।
ওই রেস্তোরাঁর কর্ণধার রাজু ঘোষ বলেন, “এবারের পুজোয় বিশেষ ভাবে আমরা বাঙালি ডিস রেখেছি। সেখানে নানা রকমের মাছ থেকে শুরু করে শুক্তো রয়েছে। ইতিমধ্যেই ষষ্ঠীর দিন থেকেই ভিড় করতে শুরু করেছেন অনেকে। অনেকেই ইলিশ পছন্দ করছেন।” সীমান্ত সংলগ্ন শহর দিনহাটাতেও ইলিশের চাহিদা রয়েছে। দিনহাতার রংপুর রোডের একটি হোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিক অসীম নন্দী জানান, বছরের সবসময়ই ইলিশের চাহিদা রয়েছে ওই শহরে। তাই ইলিশ রাখা হয়। তিনি বলেন, “পুজোর সময় চাহিদা বাড়বে। এটাই স্বাভাবিক। ভাল ইলিশ আমরা রেখেছি। তা বাসিন্দাদের মন কাড়বে।”
সাধারণত অন্য বারের তুলনায় কোচবিহার, দিনহাটার মতো শহরে এবারে চতুর্থী থেকেই পুজোর আনন্দে মাততে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। ওই দিন বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করা হয়। পঞ্চমী থেকে রীতিমতো রাস্তায় দর্শনার্থীরা বেরোতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই ভিড় জমতে শুরু করেছে হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিতে। সপ্তমী থেকে যে ওই ভিড় কয়েকগুণ বেড়ে যাবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই কারও। সে দিকে তাকিয়েই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন সবাই। ব্যবসায়ীদের কয়েকজন জানান, মাংসের সঙ্গে মাছের চাহিদা বরাবর থাকে পুজোর সময়। এই সময় বেশিরভাগ মানুষ বাইরেও খাওয়াদাওয়া সারেন। সে ক্ষেত্রে পরিবার সহ রেস্তোরাঁয় যাওয়া বাসিন্দারা মাছের নানারকম আইটেম খোঁজ করেন। কিছু দিন আগেও বাংলাদেশ থেকে ইলিশ চোরাপথে কোচবিহারে ঢুকত। দামে একটু বেশি হলেও ওই ইলিশ হাতে পেতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এখন অবশ্য বাংলাদেশ থেকে আসা ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই গঙ্গার ইলিশের উপরেই ভরসা করতে হচ্ছে সকলকে। এক রেস্তোরাঁ মালিক বলেন, “বাংলা ইলিশ নেই। তাতে কি? আমরা যে ইলিশ রেখেছি স্বাদে, গন্ধে তা অপূর্ব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy