Advertisement
E-Paper

রেললাইনে দম্পতির দেহ মেলায় রহস্য

মালদহের জিআরপির আইসি কৃষ্ণগোপাল দত্ত বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৪৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ দম্পতির দেহ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ও মিলনগড় রেল স্টেশনের মাঝে ১৭ নম্বর সেতুর কাছে বুধবার সকালে প্রথমে বধূর দেহ নজরে আসে রেল পুলিশের। প্রথমে অজ্ঞাতপরিচয় ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে অচেতন অবস্থায় তাঁর স্বামীকে উদ্ধার করা হয়। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মিলনগড় থেকে বাড়ি ফেরার সময় বধূকে প্রথমে গণধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। স্বামী তাদের চিনে ফেলায় তাঁকেও মারধর করা হয়। মরে গিয়েছে ভেবে দুষ্কৃতীরা তাকে রেখে দিয়ে পালায় বলে অনুমান রেল পুলিশের।

মালদহের জিআরপির আইসি কৃষ্ণগোপাল দত্ত বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’

রেল পুলিশ ও মৃত দম্পতির পরিজনদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল লাইনের ও পারে নতুনটোলায় থাকতো তাঁরা। মঙ্গলবার বিকালে মিলনগড়ে এক কবিরাজের কাছে চিকিত্সার জন্য যান ওই দম্পতি। রাতে তারা বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিজনরা। বুধবার সকালে রেললাইনের পাশে বছর ত্রিশের বধূর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন রেলকর্মীরা। আরপিএফ এসে দেহ উদ্ধার করে তা জিআরপির হাতে তুলে দেয়। তখনও বধূর পরিচয় জানা যায়নি। পরে বিষয়টি জানতে পেরে পরিজনেরা মালদহে গিয়ে বধূর দেহ সনাক্ত করেন। কিন্তু তখনও তাঁর স্বামীর হদিস মেলেনি। বিকেলে কয়েকজন বাসিন্দা লাইনের নীচে স্বামীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই ভোররাতে তার মৃত্যু হয়। বাড়িতে দম্পতির দুই নাবালক ছেলে রয়েছে। ঘটনার জেরে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিষয়টি রেল পুলিশ দেখছে। আমরাও খতিয়ে দেখছি।’’

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আরপিএফের কুমেদপুরের ফাঁড়ি ইনচার্জ প্রকাশ চন্দ্র রাকেশ বলেন, ‘‘লাইনের পাশে মহিলার দেহ পড়ে রয়েছে জেনে সেখানে যাই। প্রথমে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা কী তা ময়নাতদন্তেই জানা যাবে। কারও সঙ্গে শত্রুতার জেরে ঘটনা কি না তা তদন্তেই স্পষ্ট হবে।’’

মৃত ব্যক্তির ভাই বলেন, ‘‘দাদা শ্রমিক। তার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল বলে জানি না। তবে তাদের পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’’

railway track Married Couple Dead body
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy