একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। তাঁর হাতের শিরাও কাটা ছিল। শুক্রবার সকালে ইংরেজবাজার ব্লকের নিত্যানন্দপুরে ওই কলেজের ছাত্রাবাসের স্পোর্টস রুম থেকে শ্যামসুন্দর মণ্ডল (২১) নামে ওই ছাত্রের দেহ পাওয়া যায়। বাড়ি নদিয়ার তেহট্টে। শ্যামসুন্দর এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। কলেজের ছাত্রাবাসেই থেকে লেখাপড়া করতেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, প্রেমঘটিত কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর দেহ ময়নাতদন্ত করতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর আসল কারণ তার পরেই জানা যাবে।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কলেজে শ্যামসুন্দরের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষাও ছিল। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে শ্যামসুন্দরের বাবা লক্ষ্মণ মণ্ডল মালদহে পৌঁছেছেন। পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ রাত পর্যন্ত থানায় জানানো হয়নি।
ইংরেজবাজার শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে কাজিগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে বেসরকারি এই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।
এই কলেজে এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পড়ুয়ারা তো বটেই, এমনকি ভিন রাজ্যের ছাত্ররাও পড়েন। তেহট্টের শ্যামসুন্দর কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
কলেজ সূত্রে খবর, শ্যামসুন্দর ভাল ফলই করতেন। কলেজের হস্টেলে থেকেই তিনি পড়াশোনা করতেন। তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল কি না, তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি স্বাভাবিক ভাবেই রাতের খাবার খেয়েছেন। কিন্তু এ দিন সকালে কলেজ কর্তৃপক্ষ হস্টেলে শ্যামসুন্দরের ঘরের পাশেই একটি স্পোর্টস রুমে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
কলেজের শিক্ষক অনির্বাণ দত্ত বলেন, ‘‘সকালে খবর পেয়ে কলেজে গিয়ে দেখা যায় শ্যামসুন্দরের দেহ ঝুলছে। হস্টেলের ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার দিনে বা রাতে শ্যামসুন্দরের আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা কারও নজরে পড়েনি। এমনকি তাঁর রুমমেটও বিষয়টি জানতে পারেনি। মৃত্যুর ঘটনা পরিবারকে জানানো হয়েছে।’’ তাঁর বাবা লক্ষণবাবু বলেন, ‘‘কেন এমন ঘটনা হল তা জানি না।’’
এ দিকে ইংরেজবাজার থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুণ্ডু বলেন, ‘‘এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ছাত্রটির হাতের শিরাও কাটা ছিল। কী কারণে এ ঘটনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy