পরিবার: নাদির শাহর বাবা। (ডান দিকে) স্ত্রী রাখি শাহ। নিজস্ব চিত্র
ট্রেজারি আধিকারিক নাদির শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তাঁর স্ত্রী রাখির পরিবারের। কিন্তু নাদিরের বাবার দাবি, তাঁর ছেলেকে খুনই করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে দু’পক্ষের এই টানাপড়েনের মধ্যেই নাদিরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে রেফার করে দিলেন চিকিৎসকরা৷
বুধবার গভীর রাতে জলপাইগুড়িতে সরকারি আবাসনে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত ট্রেজারি অফিসার নাদির শাহ৷
জলপাইগুড়ির এই অ্যাডিশনাল ট্রেজারি অফিসার আইএএস পরীক্ষায় বসারও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়িতে চলে আসেন নাদিরের বাবা নাসির শাহ ও তাঁর এক দাদা৷ রাতে মুর্শিদাবাদ থেকে রাখির বাড়ির লোকেরাও আসেন৷ জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে নাদিরের ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক আশিস সরকার। তিনি জানান, আত্মহত্যা করলে যে সব উপসর্গ থাকার কথা, এক্ষেত্রে তা পাওয়া যায়নি৷ ফলে এটা আত্মহত্যা নাও হতে পারে৷
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানান, সন্ধ্যায় নাসির তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে দাবি করে অভিযোগ করেন৷ অভিযুক্ত হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি৷
তবে নাদিরের শ্যালক অভিযোগ করেন, তাঁর জামাইবাবুর সঙ্গে একাধিক মহিলার সম্পর্ক ছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘আগে একটি বিয়েও করেছিলেন নাদির। তা লুকিয়ে আমার দিদিকে বিয়ে করেছিলেন তিনি৷’’ তাঁর দাবি, ‘‘টাকার বিনিময়ে আগের স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে চাইছিলেন নাদির৷ মনে হচ্ছে এ সব নিয়ে দুশ্চিন্তাতেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন৷’’ নাসির জানিয়েছেন, এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য পরে জানাবেন। নাদিরের আবাসনটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy