E-Paper

পুজোয় বন্ধের মুখে নিগমের প্যাকেজ ট্যুর

এনবিএসটিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপঙ্কর পিপলাই বলেন, ‘‘কর্মীর অভাবে স্বাভাবিক পরিষেবা দিতেই কালঘাম ছুটছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ০৮:৩৫
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাস।

উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাস। —ফাইল চিত্র।

কর্মীর অভাবে ধুঁকছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। নিগমের অন্দরের খবর, পরিবহণ দফতরে অনেক বার জানানোর পরেও মিলছে শুধু আশ্বাস, কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে এ বছর দুর্গাপুজোয় নিগমের অতিরিক্ত বাস চালানো বন্ধের মুখে। প্রতি বছর দুর্গাপুজোয় উত্তরের পর্যটনস্থলগুলিতে বাস চালিয়ে বাড়তি আয় করে এনবিএসটিসি। কয়েক বছর প্যাকেজ় ট্যুরের ব্যবস্থাও ছিল। তাতে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মানুষ পাহাড়, ডুয়ার্সের পর্যটন স্থ লগুলিতে কম টাকায় ঘুরতে পারতেন। সঙ্গে থাকত উত্তরের লোকসংস্কৃতির প্রচারে গান-বাজনার ব্যবস্থাও। ঐতিহ্যবাহী এই ভ্রমণ এ বছর বন্ধের মুখে বলে জানিয়েছেন নিগমের আধিকারিকেরা।

এনবিএসটিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপঙ্কর পিপলাই বলেন, ‘‘কর্মীর অভাবে স্বাভাবিক পরিষেবা দিতেই কালঘাম ছুটছে। পুজোয় বাড়তি বাস চালানোর বিষয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। সম্ভবত প্যাকেজ় ট্যুর বন্ধ থাকবে। স্বাভাবিক পরিষেবার উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে।’’

সদ্য পাওয়া আরও নয়টি বাস নিয়ে মোট ৩০টি সিএনজি বাস পেল এনবিএসটিসি। অভিযোগ, বাসগুলি চালানোর মতো চালক পেতে হন্যে হতে হচ্ছে। নিগম সূত্রে খবর, মোট ৭০০ বাস থাকলেও রাস্তায় চলে কমবেশি ৫৫০টি। ৪ হাজার ৮০০ স্থায়ী কর্মীর মধ্যে রয়েছেন মাত্র ৩৭০ জন। ১ হাজার ৮৫০ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মীর মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৬৭৫ জন। এই পরিস্থিতিতে শেষ অর্থ বছরে নিগমের আয়ে প্রভাব পড়েছিল। বর্তমানে বাস বসিয়ে না রেখে কিছু এজেন্সিকে দিয়ে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাতেও সব বাস রাস্তায় নামাতে হিমসিম হচ্ছেন আধিকারিকেরা।

এমন পরিস্থিতিতে পুজোয় বাড়তি বাস চালাতে গিয়ে নিগমের যে সংখ্যক চালক, তদারকির জন্য কর্মী প্রয়োজন, তা অনেকাংশে কম রয়েছে। অন্য বছর পাহাড়ের লাভা থেকে লোলেগাঁও, দার্জিলিং এবং ডুয়ার্সের জলদাপাড়া থেকে জয়ন্তী, গরুমারার মতো পর্যটনের কিছু ছোট ছোট জায়গায় নিগমের বাস চলত। অনেক সময় এক-দুই রাতের থাকাখাওয়ার ব্যবস্থাও থাকত। তাতে বাড়তি আয় হত নিগমের। এনবিএসটিসি-র এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পুজোর প্যাকেজ় ট্যুরে পর্যটকদের অনেকের নজর থাকে। বন্ধ হলে আশাহত হবেন অনেকে। কর্মী সঙ্কটের বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

NBSTC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy