থিম নয়, অবিকল রাজস্থানের গজমন্দিরই উঠে আসছে ভুটিয়া মার্কেটের মাঠে। দর্শকদের চমক দিতে গ্লোব ট্রটার্স স্পোর্টিং (জিটিএস) ক্লাবের এ বারের ভাবনা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের উল্টো দিকে বানানো মার্বেলের দুধসাদা মন্দিরটি। মন্দিরের সামনে শুঁড় উঠিয়ে সেলাম জানাচ্ছে আটটি হাতি। ফাইবারের তৈরি সফেদ হাতিগুলির মডেল দেখলে মার্বেলের তৈরি বলেই মনে হবে।
মণ্ডপটি তৈরি করছেন নকশালবাড়ির এক ডেকরেটার সংস্থা। তার কর্ণধার কুশল চক্রবর্তী জানান, রাজস্থানের গজমন্দিরটি হুবহু ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। আসল মন্দিরের আদলে নকশা করা স্তম্ভ, সামনে খিলানের মতো প্রবেশ পথ—সমস্তই থাকছে। সামনের অংশ অন্তত ৯০ ফুট চওড়া। মণ্ডপের দু’ধারে দু’টি অতিকায় হাতির মূর্তি থাকছে। সাদা কাপড় দিয়ে তৈরি মন্দিরের দেওয়ালের অংশে আলো পড়লে তা মার্বেলের মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।মন্দিরের সামনের অংশে উপরে সার দিয়ে সাজানো হাতির মাথা থার্মোকল কেটে তৈরি হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। মন্দিরের ভেতরে যেখানে গিয়ে প্রতিমা দর্শন করতে হবে, সেখানকার ছাদ তৈরি করা হয়েছে লাল-নীল উল ঝুলিয়ে। থার্মোকল, শোলা কেটে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন নকশা, মন্দিরের গায়ের বিভিন্ন কারুকাজ।
পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা কুমারকান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘সাবেক ভাবনা নিয়েই মণ্ডপ এবং ঠাকুর করা হয়েছে। গজমন্দির নজর কাড়বে।’’ কর্মকর্তাদের একাংশ জানান, পুজোর বাজেট সবটাই মণ্ডপসজ্জায় বা জমকে খরচ করার উপায় নেই। এখান থেকে খরচ বাঁচিয়ে ক্লাবের খেলাধুলোও চালাতে হয়। বিশেষ করে ভাল ফুটবলার এনে টিম তৈরির করতে এখন খরচ অনেক। তবে পুজোর জমক যাতে কোনও অংশে না কমে, সে দিকেও খেয়াল রাখেন তাঁরা। সে সব ভেবেই নকশালবাড়ির কুশলবাবুকে মণ্ডপ তৈরির বরাত দেওয়া হয়। তাঁর তৈরি এই মণ্ডপ খড়িবাড়ির পানিট্যাঙ্কি এলাকায় এ বার দুর্গা পুজোয় নজর কেড়েছিল।