এক ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দিনভর জাতীয় সড়ক ও রেল আটকে বিক্ষোভ দেখানোর পরেও কারও বিরুদ্ধে কোনও মামলা রুজু করেনি পুলিশ-প্রশাসন। এমনকি রেল পুলিশের পক্ষ থেকেও কোন মামলা হয়নি। তবে সেই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভারত রাঠোর অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
দেখানোর পর দিনই স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রছাত্রীরা। বুধবার দুপুরে ডালখোলা হাইস্কুলেও গিয়েও বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ইসলামপুরের মহকুমা শাসকের দফতরের এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তবে শুধু তাই নয়, ডালখোলা পুরসভাতেও গিয়েও বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা। ডালখোলা পুরসভার চেয়ারম্যান সুভাষ গোস্বামীর দাবি, ‘‘কয়েক জন ছাত্রছাত্রীকে সামনে রেখে এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত যুবকেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছে।’’ সুভাষবাবু বলেন, ‘‘ডালখোলা বাইপাসের জমি আমরা হস্তান্তর করে দিয়েছি। সেটি এখন টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হয়নি। এখন যা করার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষই করবে।’’
ডালখোলা হাইস্কুলে এ দিন ইউনিট টেস্ট ছিল। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোয় পরীক্ষা বন্ধ করে দিতে হয়।
এ দিন, ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন করণদিঘির সহকারি বিডিও ও ইসলামপুরের এক ডেপুটি মেজিস্ট্রেট। পরে অবশ্য জেলাশাসককের সঙ্গে দেখা করার আশ্বাসও দেয়া হয়। ইসলামপুরের মহকুমা শাসক শেরিং ওয়াই ভুটিয়া পরে জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। জাতীয় সড়ক সংস্কার ও জাতীয় সড়কের বাইপাসের কাজ দ্রুত শুরু করার কথা জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ডালখোলা বাইপাসের দাবিতে অবরুদ্ধ ছিল ডালখোলা শহর। এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় ১১ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ করে দেয় রেল চলাচল। সন্ধ্যায় কিছু ক্ষণ রেল চলাচল করলেও ফের বন্ধ হয়ে যায় রেল। রাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy