স্ট্রেচার মেলেনি। আত্মীয়েরা কাঁধে করেই রোগী নিয়ে যাচ্ছিলেন মেডিসিন ওয়ার্ডে। কিন্তু যেতে যেতে করিডোরে প্রাণ গেল সেই রোগীর! এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। দালালদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলে রোগীর পরিবারের লোকেদের দাবি, ট্রলার বা স্ট্রেচারের জন্য টাকা চাওয়া হয়েছিল। তাঁরা দিতে রাজিও হয়েছিলেন। তার পরেও স্ট্রেচার মেলেনি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত রোগীর নাম বিশ্বজিৎ চন্দ (৩৮)। তিনি বাগডোগরার বাসিন্দা। শুক্রবার সকালে বার বার বমি এবং পেটে ব্যথা হতে থাকায় তাঁকে প্রথমে বাগডোগরার ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। প্রথমে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে বলা হয় মেডিসিন বিভাগে নিয়ে যেতে। কিন্তু অভিযোগ, তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও স্ট্রেচার বা হুইলচেয়ার মেলেনি। ফলে বাধ্য হয়েই রোগীকে কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিজনেরা। করিডোরে এক দালালের কাছে তাঁরা ট্রলি দেখতে পান। চাইতে গেলে বলা হয় ২০০ টাকা লাগবে। পরিবারের লোকেরা তা দিয়ে দিলেও, শেষমেশ তাঁদের ট্রলি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
রোগীর আত্মীয় নূপুর পাল বলেন, ‘‘২০০ টাকা চেয়েছিল। দিতে চেয়েছিলাম। তার পরেও দেয়নি। ছেলেটা রাস্তাতেই মারা গেল!’’
মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘গাফলতি কী হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। জরুরি বিভাগে রোগীকে ঠিকমতো চিকিৎসা করার পর কিছুটা সুস্থ হলে তখন ওয়ার্ডে পাঠানো উচিত ছিল। তা কেন করা হয়নি, খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি ট্রলি বা হুইলচেয়ার কেন ছিল না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হবে। খতিয়ে দেখা হবে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ।’’