যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদে এসএফআই, ডিওয়াইএফের মিছিল।—নিজস্ব চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সরব হলেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। পোস্টারে নীরব ধিক্কারের পাশাপাশি মিছিলে পা মিলিয়েও আওয়াজ তুললেন উত্তরবঙ্গ, গৌরবঙ্গ, ও পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। এদিন ‘পুলিশের লাঠির মুখে গানের সুর, পথ দেখাচ্ছে যাদবপুর’পোস্টারে ছেয়ে যায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। ‘আইসা’ ও অন্য একটি সংগঠনের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’মোড় থেকে ক্যাম্পাসে ঢুকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ঘুরে ফের ল’মোড় গিয়েই মিছিল শেষ হয়। ছাত্র পরিষদের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত রোনাল্ড দে বলেন, “ওই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে রাজ্যপালকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। কেন না এটা স্পষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপাচার্যরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নির্দেশে চলছেন। পুলিশ দিয়ে নিরীহ পড়ুয়াদের উপর লাঠি চালান হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর মদত ছাড়া এটা হতে পারে না।”
এসএফআইয়ের তরফেও এ দিন শিলিগুড়ি শহরে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। বিকেলে দলীয় কার্যালয় থেকে হিলকার্ট রোড সেবকমোড়, বিধানরোডে মিছিল করা হয়। এসএফআইয়ের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রছাত্রীরাও মিছিলে অংশ নেন। সংগঠনের ওই শাখার নেত্রী অদ্রিজা চন্দ বলেন, “পুলিশের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা ছাত্রছাত্রীদের মারধর করেছে। পুলিশও মেরেছে। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সংগঠনের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের তরফেও আন্দোলন শুরু করা হবে।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ হবে বলে জানিয়েছেন এসএফআইয়ের কোচবিহার জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি গোস্বামী। তিনি বলেন, “ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা জেলায় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদে সামিল হব। সাংগঠনিক বৈঠক করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
এসএফআই ও ছাত্র পরিষদের গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট যাদবপুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা করলেও, এখনই এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামছে না। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অভিজিত্ দে বলেন, “যাদবপুরে যে ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা করার ভাষা নেই। ২০-২১ সেপ্টেম্বর আমাদের সংগঠনের জেলা সম্মেলন। সেই কারণে এই মুহুর্তে আমরা যাদবপুরে পুলিশি জুলুমবাজির প্রতিবাদে আন্দোলনে নামতে পারছি না। জেলা সম্মেলন শেষ হওয়ার পর আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামব।”
ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি বাবুল শেখ বলেন,“দোষীদের আড়াল করতেই পুলিশ আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি। এখন রাজ্যের রক্ষকরাই হচ্ছে ভক্ষক। আমরা খুব শীঘ্রই এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামব।” যাদবপুরের ঘটনায় তৃণমূল ছাত্রপরিষদের জেলা সভাপতি প্রসেনজিত্ দাস অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy