সুস্বাদু: গাড়িতে তৈরি হচ্ছে মোমো। নিজস্ব চিত্র
পালক পনির মোমো, সুইটকর্ন, চিজ ও অনিয়ন মোমো, কোকোনাট মোমো—এমন সুস্বাদু হরেক রকমের মোমোর রেসিপি শিলিগুড়ির ছাড়িয়ে ক্রমশই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ভিনরাজ্যে। আর তার পিছনে কাজ করছে স্থানীয় সংস্থা ‘মোমোস অন হুইলস’। সংস্থার বিশেষ ঠেলা গাড়িতে করে বিভিন্ন ধরনের মোমো তাঁরা বাজারে জনপ্রিয় করতে পেরেছেন এই রাজ্যে। সেই সঙ্গে প্যাকেটে বিক্রি করছেন ‘ফ্রোজেন মোমো’। যা ছ’মাসও টানা রেখে দেওয়া সম্ভব। গোয়া, দিল্লি বেঙ্গালুরুতে এই ফ্রোজেন মোমো তাঁরা ইতিমধ্যেই সরবরাহ করছেন।
সংস্থার ডিরেক্টর দেবায়ন বিশ্বাসের কথায়, ‘‘একমাত্র চিনই এখন বিশ্বের বাজারে ‘ফ্রোজেন মোমো’ সরবরাহ করে। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে তাই আমরাও প্রস্তুত।’’
সংস্থার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, কলকাতাও। তারাও সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সহায়তার হাতও বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ শতাংশ শেয়ার তারা পাচ্ছে। শিলিগুড়ির মতো শহর থেকে মোমো নিয়ে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে এই সংস্থার এগিয়ে আসা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন দেবায়ন নিজেও।
‘কার্ট’ বা ঠেলায় মোমো মিলছে এই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে। তবে শিলিগুড়িতে ঠেলায় মোমো সে ভাবে চালু ছিল না। এ বার থেকে শিলিগুড়িতে তারা পাঁচটি ঠেলা চালু করছেন। সংস্থার তরফে জানানো হয়, ১৭ ধরনের বিভিন্ন স্বাদের মোমো রয়েছে। ১০০ টাকা কেজি থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে ফ্রোজেন মোমো মিলছে। ২০১৪ সালে ছোট আকারে ফ্রোজেন মোমো তৈরি শুরু করেছিলেন। এখন সেটাই কলেবরে বাড়তে শুরু করেছে।
দেবায়নের কথায়, ‘‘ভিনরাজ্যে কোথাও এখনও কার্ট চালু করা হয়নি। তবে দিল্লি, ওড়িশা, পটনা, ঝাড়খণ্ডের মতো জায়গা থেকে কার্ট চালুর অনুরোধ আসছে।’’ রাজ্যে ১০০টি কার্ট চালু করে তার পর তাঁরা ভিনরাজ্যে ‘কার্ট’ চালু করবেন বলে জানান। এখন কলকাতা, বর্ধমান, ব্যারাকপুরের মতো শহরে সব মিলিয়ে ৫০টির মতো কার্ট চালু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy