জলপাইগুড়িতে ডিপিএসসি অফিসের গেটে দলীয় পতাকা লাগিয়ে দিচ্ছেন এক বিজেপি কর্মী
বন্ধে দিনভর টক্কর চলল তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে। আর যে বামেরা মঙ্গলবারও পথে নেমে আন্দোলন করছিলেন, তাঁদের এ দিন সে ভাবে চোখে পড়েনি। এরই মধ্যে বন্ধ রইল এটিএম থেকে বাজার। ঘুরপথে মেডিক্যালে পৌঁছতে হল গাড়িকে। সরকারি নির্দেশিকার জেরে বাম পরিচালিত পুরসভাতেও হাজিরা ছিল যথেষ্ট ভাল। দিনভর বন্ধে শহর জুড়ে কী ঘটল, তার এক ঝলক।
বিজেপি’র মার তৃণমূলকে
বন্ধ বিফল করতে রাস্তায় নেমেছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। সঙ্গে ছিল মোটরবাইকও। এনজেপি অম্বিকানগর-মাইকেল এলাকায় হঠাৎ তাঁদের উপর চড়াও হয়ে ৮টি বাইক ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ৩ জন তৃণমূল কর্মী জখম। গ্রেফতার করা হয় ২ জন বিজেপি কর্মীকে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ফুলবাড়ি ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা বিজেপি’র অম্বিকানগর পার্টি অফিসাটি ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতারা জানান, জেসিবি এনে পার্টি অফিসটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। দু’তরফেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
বাস ভাঙচুর
বধর্মান রোডে একটি শপিং মলের সামনে সরকারি বাসে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রের খবর, এনবিএসটিসি-র বাসটি কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি আসছিল। শহরে ঢোকার পরে বিজেপি বিক্ষোভের সময়ে কেউ বা কারা ইট ছুড়ে বাসের সামনের কাচ ভেঙে দেয়। আতঙ্কিত যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। পুলিশ এসে ৩ জন বন্ধ সমর্থককে গ্রেফতার করে।
ঘুরপথে মেডিক্যাল কলেজ
বিজেপির বন্ধের সমর্থনে পিকেটিং, মিছিলে বুধবার বর্ধমান রোড টোটো, অটো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ দিন অটোর সংখ্যা কম ছিল। শিলিগুড়ি থেকে মাটিগাড়ার মেডিক্যাল কলেজে যাওয়ার অধিকাংশ অটোকে নৌকাঘাটের বদলে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে যেতে হয়েছে। এতে যাত্রীদের কাছে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধিকাংশ অটো, টোটো চালকের বিরুদ্ধে। চালকদের দাবি, বধর্মান রোডে বাসে ঢিল পড়ে। টোটো, অটো দেখলেই ধরা হচ্ছিল। তাই ঘুরপথে যেতে হয়েছে।
এটিএম বন্ধ, দুর্ভোগ
সকাল থেকে শহরের অধিকাংশ এটিএমের ঝাঁপ নামিয়ে রাখা হয়। সকালে টাকার জন্য বার হয়ে বহু বাসিন্দাকেই দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি এটিএম সকালের দিকে খোলা থাকলেও মিছিল, পাল্টা মিছিল, বাস ভাঙচুর, গ্রেফতারের খবর শহরে চাউর হতেই সেগুলিও বন্ধ হয়ে যায়। বাসিন্দারা জানান, একে ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। তার উপরে এটিএমে টাকা থাকলেও দিনের বেলায় তা মেলেনি। সন্ধ্যার পর অবশ্য বহু এটিএমের ঝাঁপ খুলে দেওয়া হয়।
বামেদের পুরসভা সচল
বন্ধে সচল রইল বামফ্রন্ট পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, সার্বিক উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। সব বিভাগেই স্বাভাবিক দিনের মতোই কাজ হয়েছে। এ দিন পুরবোর্ডের বৈঠক ছিল বলেও উপস্থিতি স্বাভাবিক ছিল বলে দাবি করেন কেউ কেউ। তবে পুরসভায় এসে বিভিন্ন বিভাগের কাজকর্মও করে গিয়েছেন শহরের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy