গতবারের তুলনায় কোচবিহারের বিভিন্ন কলেজে স্নাতকস্তরে ভর্তির বেশি সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। যার ভিত্তিতে ২৮ অগস্ট প্রাথমিক মেধা তালিকা বেরিয়েছে। আগামিকাল, সোমবার চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশের তোড়জোড় চলছে। জেলার বিভিন্ন কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোনও কারণে প্রাথমিক তালিকায় ভুল থাকলে আবেদনকারীরা যাতে তা জানাতে পারেন, সে-কথা মাথায় রেখেই প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের তিনদিনের মাথায় কলেজে চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত ।
জানা গিয়েছে, কোচবিহার শহরের একটি কলেজের আসন সংখ্যা প্রায় এক হাজার, আবেদন পড়েছে চার হাজারের বেশি। আবার শহরের অন্য একটি কলেজে আসন সংখ্যা ১৭৫০, আবেদন জমা পড়েছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার। গত বছরের নিরিখে শুধুমাত্র ওই দুটি কলেজেই প্রায় দেড় হাজার বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এবিএন শীল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিমল সাহা বলেন, “এ বার প্রায় পাঁচশো বেশি আবেদন জমা পড়েছে।” কোচবিহার কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, “ গতবারের তুলনায় প্রায় এক হাজার বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ৩১ অগস্ট চূড়ান্ত মেধাতালিকা বেরোবে।” বিটি অ্যান্ড ইভনিং কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ বলেন,“এবার আবেদনের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।”
বেকেন এত আবেদন? অনেকেরই ধারণা, করোনা আবহে বাইরের জেলায় ভর্তির আবেদনের ঝোঁক কম। এছাড়া, উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার বৃদ্ধি এবং একজন পড়ুয়ার বেশ কয়েকটি কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্সের আবেদন জমা, নিখরচায় ফর্ম পূরণের সুবিধের কারণেই এত আবেদন জমা পড়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন কলেজে আসন বাড়ানোর দাবি উঠতে শুরু করেছে। স্নাতকে ভর্তির জন্য কোচবিহারের ১৫টি কলেজ পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন। পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সাফেলি বলেন, “উচ্চশিক্ষার সুযোগ সকলেই পাক সেটা আমরাও চাই। তাছাড়া পুরোপুরি ভর্তি শুরু হোক। কী দাঁড়ায় দেখা যাক।’’