Advertisement
E-Paper

নথি চাইলেন স্বাস্থ্যকর্তা

অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত আটটায় তাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হলেও যাঁর অধীনে তিনি ভর্তি ছিলেন সেই চিকিৎসক ইন্দ্রনাথ দাস বুধবার বেলা ১০টা পর্যন্ত রোগিণীকে দেখতেই আসেননি। ফোনে নার্সিংহোমের কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে ইঞ্জেকশন এবং ওষুধ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৩১
আশ্বাস: শয্যা মেলেনি। করিডরেই অসুস্থ প্রিয়জন। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

আশ্বাস: শয্যা মেলেনি। করিডরেই অসুস্থ প্রিয়জন। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

ডেঙ্গির শক সিনড্রমে মৃত শুক্লা ধরের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠাল জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির সেবক রোডের ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি নথি চেয়ে পাঠান। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত আটটায় তাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হলেও যাঁর অধীনে তিনি ভর্তি ছিলেন সেই চিকিৎসক ইন্দ্রনাথ দাস বুধবার বেলা ১০টা পর্যন্ত রোগিণীকে দেখতেই আসেননি। ফোনে নার্সিংহোমের কর্মীদের নির্দেশ দিয়ে ইঞ্জেকশন এবং ওষুধ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বুধবার সকালে শুক্লাদেবীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাঁকে আইসিসিইউ’তে পাঠান। ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। তাঁর শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি।

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন,‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চিকিৎসা চক্রান্ত নথি পাঠানো হয়েছে।’’ শহরের নার্সিংহোমগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত অন্তত ৫০ জন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল বা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও জ্বরের রোগীর ভিড়। উভয় হাসপাতালেই মেডিসিন মেঝেতে, করিডরে জ্বরের রোগীদের চিকিৎসা চলছে। সঠিক পরিষেবা না-পেয়ে অনেক রোগীকেই হাসপাতাল থেকে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ, ভাইরাল জ্বর নিয়ে সঙ্গীতা শাহকে রবিবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান পরিবারের লোকেরা। রোগীর প্লেটলেট ২২ হাজারে নেমে গিয়েছে দেখে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করা হয়। সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ৩ ইউনিট প্লেটলেট দেওয়া হয়েছে। করিডরে মেঝেতে জায়গা মিলেছে। চিকিৎসকরা সময় মতো দেখছেন না। কিছু জানতে গেলে চিকিৎসক, নার্সরা ধমক দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার এই পরিস্থিতিতে রোগীকে নার্সিংহোমে নিয়ে যান পরিবারে লোকেরা। রোগিণীর বাবা সর্বন শাহ বলেন, ‘‘চিকিৎসক কখন আসবেন ঠিক নেই। কিছু জানতে চাইলে নার্স, চিকিৎসক রেগে যাচ্ছেন। জুনিয়র ডাক্তাররাই সব সময় দেখছেন। মেয়ের এই অবস্থা দেখে আর ভরসা রাখতে পারিনি।’’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

Dengue Negligence Nusing Home
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy