ফাইল চিত্র।
ভোর থেকে স্কুলের সামনে দুয়ারে শিবিরে ভিড় করে ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। স্কুলের ওই গেট খুলতেই ভেতরে ঢুকতে মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। স্কুলের ওই ছোট্ট লোহার গেটে আটকে ভিড়ে চাপে পাঁজরের হাড় ভাঙল এক বৃদ্ধার। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর অঞ্চলের বিসরাইল হাইস্কুলে দুয়ারে শিবিরের ঘটনা।
রেণুবালা সরকার নামে ৬৪ বছরের ওই বৃদ্ধাকে গুরুর জখম অবস্থায় আত্মীয়রা গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। বৃদ্ধার ফুসফুসের কাছে পাঁজরের ৬টি হাড় ভেঙে গিয়েছে। এক্সরে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক তাঁকে মালদহ মেডিক্যালে রেফার করেন। ওই ঘটনায় শিবিরের গেটে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও সিভিক কর্মীর গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
এ দিন বিকেল ৫টা নাগাদ গঙ্গারামপুর থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে বৃদ্ধাকে মালদহে নিয়ে যাওয়ার পথে ছেলে পরিতোষ অভিযোগ করেন, "আচমকা স্কুলের গেট খুলে দিতেই একসঙ্গে বহু লোক ভিতরে ঢোকার জন্য হামলে পড়েন। লোহার ছোট দরজার গ্রিলের মধ্যে আটকে পড়েন মা। ভিড়ের চাপে জখম হয়ে তিনি লুটিয়ে পড়েন। এর পর তাঁকে উদ্ধার করে শিবির থেকে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে আনা হয়।"
দক্ষিণ দি্নাজপুরের জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, "এমন হওয়ার কথা নয়। ভিড় এড়াতে জেলাজুড়ে আরও ৫০০টি অতিরিক্ত দুয়ারে শিবির চালু করা হয়েছে।" ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নন্দনপুর পঞ্চায়েত এলাকা অনেক বড়। গত ২০ অগস্ট শিবির হওয়ার কথা ঘোষণা করেও তা বাতিল হয়। ফলে এ দিন ওই স্কুলে শিবির চালু হতেই হাজার দশেক গ্রামবাসী সকাল থেকে ভিড় করেন।
স্থানীয় বিকোর এলাকার গরিব কৃষক পরিবারের বাসিন্দা জখম ওই বৃদ্ধা রেণুবালা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করতে এদিন ছেলে পরিতোষকে নিয়ে আত্মীয়দের সঙ্গে দুয়ারে শিবিরে আসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy