আলু কেনাবেচা নিয়ে বচসার জেরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল পড়শি এক যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে সদর ব্লকের বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সন্ন্যাসীহাট এলাকার কীর্তনিয়া পাড়ায়। পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম কুমুদ শর্মা (৫৫)। অভিযুক্ত যুবক মানিক শর্মাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার আইসি আশিস রায় বলেন, “মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জখম যুবককে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।” মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার কুমুদবাবুর কাছে তিন বস্তা আলু কিনে ওই বাড়িতে রেখে দেন মানিক। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সেখান থেকে এক বস্তা আলু মানিককে না জানিয়ে অন্য একজনকে দেন কুমুদবাবু। ঘটনাটি শোনার পর ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে বচসা বাধে। সন্ধ্যার পরে বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়। মৃত কুমুদবাবুর ছেলে ধীরাজ শর্মা বলেন, “রাস্তায় একা পেয়ে বাবার উপরে লাঠি নিয়ে হামলা চালায় মানিক। লাঠির আঘাতে বাবার মাথা ফেটে যায়। চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে গেলে মানিক পালিয়ে যায়। মারাত্মক জখম অবস্থায় বাবাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।” যদিও জখম মানিক ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, তাঁর কেনা তিন বস্তা আলু নিতে গিয়ে দেখেন একটি বস্তা নেই। আলু কোথায় জানতে চাইলে তাঁর উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান কুমুদবাবু। তিনি বলেন, “আমার কেনা আলু সরিয়ে উল্টে আমাকে চোর সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছে ওঁরা। প্রতিবাদ করলে হামলার মুখে পড়তে হয়। ওই সময় নিজেদের লোকজনের লাঠির আঘাতে কুমুদবাবু মারা যান।”
এখানেই শেষ নয়। শুক্রবার দুই পক্ষের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ আরও তীব্র হয়েছে। এদিন নতুন অভিযোগ ওঠে, মানিক কয়েক মাস হয়েছে সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। কুমুদবাবু পুরনো তৃণমূল কর্মী। দল বদলের পরে মানিক বিবাদে জড়িয়ে পরে। আলুর কারবারের অছিলায় বৃহস্পতিবার রাতে হামলা চালায়। যদিও মৃত কুমুদবাবুর ছেলে ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেন। প্রদেশ তৃণমূল সম্পাদক কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, “দলীয় কর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনার খোঁজ নিয়েছি। এটা পুরোপুরি ব্যবসায়ী কারণে বিবাদ। শুনেছি পরিবারের কয়েকজন দলের নাম জড়িয়ে ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। এটা চলবে না। পুলিশকে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের জন্য বলা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy