Advertisement
E-Paper

লম্বা লাইন, দায়িত্বে এক ডাক্তার

রোগীদের লম্বা লাইনের জন্য পরপর রোগী দেখে যাচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। দম ফেলার ফুরসৎ পাচ্ছে না তিনি।  এই পরিস্থিতিতে রবিবারের হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে রোগীর পরিজনেরা সরব হয়েছেন। সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘রবিবার চিকিৎসক কম থাকেন। অন্য বিভাগ চালু থাকে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৮ ০২:৫৮
ভোগান্তি: রবিবারের হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

ভোগান্তি: রবিবারের হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

রবিবার বন্ধ থাকে বহির্বিভাগ। ফলে কোনওরকম প্রয়োজনে রোগীদের ভরসা জরুরি বিভাগই। কিন্তু সেখানে সকালে থাকেন একজন মাত্র চিকিৎসক। রবিবারের শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ছবি এমনই।

রোগীদের লম্বা লাইনের জন্য পরপর রোগী দেখে যাচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। দম ফেলার ফুরসৎ পাচ্ছে না তিনি। এই পরিস্থিতিতে রবিবারের হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে রোগীর পরিজনেরা সরব হয়েছেন। সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘রবিবার চিকিৎসক কম থাকেন। অন্য বিভাগ চালু থাকে।’’

ছুটির দিনে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনের জায়গা দখল করে রয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স। রোগীর পরিজনদের বসার জায়গায় ঘুমিয়ে রয়েছেন অনেকে। প্রতি রবিবারই হাসপাতালে এমন চিত্র দেখা যায় বলে রোগীর পরিবারের লোকজনেরা জানিয়েছেন।

রবিবার মাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন বাবলু মজুমদার। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তাঁর মা শিপ্রা মজুমদার। শিলিগুড়ি হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কখন চিকিৎসককে দেখাতে পারব জানি না।’’ হাসপাতালের পুরুষ সার্জিক্যাল বিভাগ, মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গিয়েছে সেখানে মেঝেতে শুয়ে রয়েছেন রোগীরা। পুরুষ সার্জিকাল ওয়ার্ডের সামনে এক রোগীকে সিঁড়ির সামনেই অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। ওয়ার্ডে চিকিৎসকদেরও ঠিকমতো দেখা যায়নি।

অন্যদিকে হাসপাতালের ডায়ালিসিস রুমের কাছেই আবর্জনা ভর্তি প্যাকেট রেখে দেওয়া হয়েছে। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় সাফাইকর্মীদের উপস্থিতির হারও অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম থাকে বলে হাসপাতাল ঠিকমত সাফাই হয় না বলে অভিযোগ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পরিজনদের। যদিও হাসপাতালের এসএনসিইউ, সিসিইউ, ডায়ালিসিস, সিটি স্ক্যান বিভাগ চালু ছিল।

হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘রবিবার সরকারি নিয়ম অনুযায়ীই আউটডোর বন্ধ থাকে। অন্য দিনের তুলনায় রোগীও কম আসেন। কোনও ওয়ার্ডে সমস্যা হলে কলবুকের মাধ্যমে চিকিৎসক এনে রোগীকে পরিষেবা দেওয়া হয়।’’ কিছু সমসযা থাকলেও পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনওরকম আপোষ করা হয় না বলেই দাবি করেন তিনি।

Doctor Patient Outdoor Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy