E-Paper

বিরোধী দলের প্রধান রাতে গেলেন প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায়

প্রশাসন সূত্রের খবর, সৌরণি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড় গঠন করার কথা ছিল ‘মহাজোটের’। ১৩ আসনের গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ছ’টি এবং ‘মহাজোটের’ প্রার্থীরা সাতটি আসন পেয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৩ ০৮:৩৭
প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সমর্থক।

প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সমর্থক। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দার্জিলিং পাহাড়ের মিরিকের সৌরণিতে গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সৌরণি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পাহাড়ের শাসক দল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার বিরুদ্ধে হামলা, হুমকির অভিযোগ তুললেন ‘মহাজোট’-এর কর্মীরা৷ বাকি পাহাড়ে নির্বিঘ্নে বোর্ড গঠন হয়েছে৷

প্রশাসন সূত্রের খবর, সৌরণি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড় গঠন করার কথা ছিল ‘মহাজোটের’। ১৩ আসনের গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ছ’টি এবং ‘মহাজোটের’ প্রার্থীরা সাতটি আসন পেয়েছেন। সেখানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ পার্টি এবং নির্দল সদস্যেরা আছেন। বিকালে নীরা সুব্বাকে প্রধান নির্বাচিত করা হয়। এ দিন রাত ৮টা নাগাদ নীরা সুব্বা জিটিএ প্রধান অনীত থাপার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি দাবি করেন, প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় তিনি শামিল হলেন। নতুন সমীকরণে প্রজাতান্ত্রিকদের হাতে গেল সাত আসন। বিরোধীরা হয়ে গেলেন ছ’জন। রাতারাতি এই বোর্ড গঠনকে জোরজবরদস্তির রাজনীতি বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন। দুপুরে এলাকায় জনমুক্তি মোর্চার নেতা পূর্ণ সিংহ রাইকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, শাসক দলের নেতারা বোর্ড দখলে মরিয়া হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে বাজার এলাকায় দেখতে পেয়েই চড়াও হন। খবর পেয়েই পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে এসে অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দেয়। প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেতা-কর্মীরা পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা নেতারা। দলের সভাপতি অনীত থাপা বলেছেন, ‘‘বিরোধীরা হেরে গিয়ে নানা অপপ্রচার করছে। নিজেদের কোন্দলে শাসক দলে নাম জড়ায়। নির্বাচিত প্রধান আমাদের দলের সঙ্গেই ছিলেন। ভোটের সময় আলাদা হন।’’

প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা সূত্রের খবর, দার্জিলিং, কালিম্পং পাহাড়ে দুই দশক পরে, পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে। পাহাড়ের অধিকাংশ এলাকায় ভোটে শাসক, প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে। নয়টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে সাতটি প্রজাতান্ত্রিক জিতেছে। বাকি আরও একটি তাদের দখলে আসার পথে। শুধু মিরিক পঞ্চায়েত সমিতি বিরোধীরা দখল করেছেন।

এ দিকে, মিরিকের সৌরণির গ্রাম পঞ্চায়েত রাতে হাতছাড়া হতেই মিরিক পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ে বিরোধী শিবিরে উদ্বেগ বেড়েছে। সেখানকার নির্বাচিত সদস্যদের অন্যত্র সরিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। বিরোধীদের হাতে যাওয়া একমাত্র পঞ্চায়েত সমিতিতে জিএনএলএফ, বিজেপি প্রার্থীরা জিতেছেন। তাঁরা বোর্ড ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও রাতে অনীত থাপা দাবি করেছেন, ‘‘পাহাড়ের নয়টি পঞ্চায়েত সমিতিতেই প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার বোর্ড হবে। সময় মতো মত সব বলা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy