Advertisement
E-Paper

দল ভাঙিয়ে এনে অশান্তি তৃণমূলেই

প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল কারও। কাউকে আবার প্রার্থী করার আশ্বাস দিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেসত্যাগীদের স্থান করে দিতে গিয়ে পাল্টে গিয়েছে পরিস্থিতি। আর তা ঘিরেই এখন অশান্তির আঁচ উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল শিবিরে।

গৌর আচার্য

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৭

প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল কারও। কাউকে আবার প্রার্থী করার আশ্বাস দিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেসত্যাগীদের স্থান করে দিতে গিয়ে পাল্টে গিয়েছে পরিস্থিতি। আর তা ঘিরেই এখন অশান্তির আঁচ উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল শিবিরে।

জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ বিশ্বাস শাসক দলে যোগ দেওয়ার আগে শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছিল জেলা তৃণমূলের সহকারী সম্পাদক তপন নাগের। কিন্তু পরবর্তীতে সন্দীপবাবুকে ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে শনিবার ২৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তপনবাবু। দল প্রার্থী না করায় ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর বরেন বৈশ্যও। আর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের ঘোষিত প্রার্থী মনোরঞ্জন সরকার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে। তাঁর অভিযোগ, এই ওয়ার্ডে তাঁর নাম ঘোষণার পরেও তাঁকে সরিয়ে দিয়ে প্রার্থী করা হয় সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর অসীম অধিকারীকে।

গত ১১ এপ্রিল তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী রায়গঞ্জে এসে শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টি ওয়ার্ডের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেন। সেই তালিকায় নাম ছিল তপনবাবু ও মনোরঞ্জনবাবুর। পরবর্তীতে রায়গঞ্জ পুরসভার পাঁচটি ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে ছবিটাই বদলে যায় আমূল। সন্দীপবাবু ও অসীমবাবু ছাড়াও গত এক সপ্তাহে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী আদেশ মাহাতো, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী দীনদয়াল কল্যাণী ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী বিমলজ্যোতি সিংহ। তাঁদের সকলকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। অভিযোগ, এর জেরে আশ্বাস দিয়েও প্রার্থী করা হয়নি ৪ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুই তৃণমূল নেতা শিবেন্দ্রনাথ বর্মন ও উত্তম রায়কে।

তপনবাবু বলেন, ‘‘অমলবাবু আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেও পরে কংগ্রেস ছেড়ে আসা সন্দীপবাবুকে প্রার্থী করে নিজেই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তৃণমূলের সাধারণ কর্মীদের চাপেই নির্দল থেকে দাঁড়ালাম। আমি অমলবাবুর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিচ্ছি।’’

বরেনবাবুর দাবি, দলের জেলা নেতৃত্ব তাঁকে ও একাধিক ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতাদের প্রার্থী করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিরোধী দলের প্রার্থীদের দলে ঢুকিয়ে প্রার্থী করেন। তিনি বলেন, ‘‘এরই প্রতিবাদে আমি দলের সঙ্গ ছেড়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ালাম।’’

অমলবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘রাজ্য নেতৃত্ব চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন। দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তপনবাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’’

Raiganj TMC municipal election
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy