Advertisement
০৭ মে ২০২৪

সম্মেলন আয়োজন করতে নাকাল অবস্থা উদ্যোক্তাদের

ভরসা বলতে পাঁচশো আর হাজার টাকার নোট। কেন না সদস্যরা অধিকাংশই চাঁদা দিয়েছেন পাঁচশো আর হাজার টাকার নোটেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৬ ০২:০১
Share: Save:

ভরসা বলতে পাঁচশো আর হাজার টাকার নোট। কেন না সদস্যরা অধিকাংশই চাঁদা দিয়েছেন পাঁচশো আর হাজার টাকার নোটেই। কিন্তু এই বাজারে তা নিয়ে চলা যে দায় তা বিলক্ষণ টের পাচ্ছেন অল ইন্ডিয়া ইন্সস্টিটিউট অব মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট সংগঠনের কর্মকর্তারা। হোটেল থেকে সম্মেলনের বই, লিফলেট, নথিপত্র, অন্যান্য সামগ্রী অটোতে করে মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে দিতে ৩০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে। অটো চালককে পাঁচশো টাকার নোট দিতেই সে নিতে নারাজ। শেষে দুই তিন জন সদস্য কেউ ৫০ টাকা, কেউ ১০০ টাকা দিয়ে সমস্যা মেটান। চা, পানীয় জল বিক্রেতাকে টাকা দিতে গিয়েও একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

বস্তুত, শনিবার থেকে অল ইন্ডিয়া ইন্সস্টিটিউট অব মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট সংগঠনের ২৪ তম কংগ্রেসের দু’দিন ব্যাপী সম্মেলন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের হাতে টাকা থাকা সত্ত্বেও তার আয়োজনে হোটেল, গাড়ি ভাড়া, মাইক ভাড়া, দোকান থেকে জিনিস কেনাকাটা করতে গিয়ে পদে পদে হোঁচট খেতে হচ্ছে। কোথাও বুঝিয়ে, অনুরোধ করে পাঁচশো, হাজার টাকার নোট চালাতে পারছেন। কোথাও বিক্রেতা নিতে নারাজ। মাথা খাটিয়ে বিকল্প উপায় খুঁজতে হচ্ছে।

সংগঠনের সম্পাদক শিবেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন,‘‘আমাদের সদস্যদের মধ্যে যাঁরা ছাত্রছাত্রী তাদের চাঁদা ৫০০ টাকা। যাঁরা পাশ করে গিয়েছেন বা কাজ করছেন তাদের দেড় হাজার টাকা। অধিকাংশই পাঁচশো আর হাজার টাকার নোট দিয়ে চাঁদা দিয়েছেন। কলকাতা, তামিলনাড়ুর মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে শতাধিক সদস্য এসেছেন। তাঁদের দেওয়া চাঁদার টাকা হাতে রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওই নোট না চলায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’’ যেমন এ দিন বাইরে থেকে সম্মেলনে যে সাধারণ সদস্যরা এসেছেন তাঁদের এবং এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্যদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে যে হোটেলে, সেখানে বিল দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।

সদস্যদের দুপুরের, রাতের খাবার সরবরাহের বরাত দেওয়া হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনে। ক্যান্টিন মালিককে টাকা মেটানো হয়নি। ডেবিট কার্ড দিয়ে বিল নেওয়ার ব্যবস্থাও তাঁদের নেই। পাঁচশো, হাজার টাকার নোট-ও তাঁরা নিতে চান না। রবিবারও তাঁরা খাবার সরবরাহ করবেন। তাই কয়েকজন মিলে এটিএম থেকে টাকা তুলবেন নয় তো ক্যান্টিন মালিককে চেক কেটে দেবেন বলেই ভাবছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Covention trouble Currency
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE